শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লালমনিরহাটে তিস্তার পানি কমলেও নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা তিস্তা পারের মানুষ

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৩১ পিএম

সপ্তম দফায় তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার গত তিনদিন ধরে বন্যার পর কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তিস্তার তীব্র ভাঙ্গন। এদিকে বন্যা আর ভাঙ্গরে দিশাহারা পড়েছে তিস্তাপারের হাজারো কৃষক। বন্যা কবলিত এলাকায় এখনও কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।


শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর ) বিকেল সাড়ে ৫টা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ ৫২.০৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.৬০) যা বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার রেকোর্ড করা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলায় তিস্তা নদীর গর্ভে ৪২টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পরিবারগুলো ঘরবাড়ি হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।


জানা গেছে,এ বছরের কয়েক দফা বন্যা ও নদীর ভাঙ্গনে লালমনিহাটের পাচঁ উপজেলার ২০টি পয়েন্টে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি,মসজিদ, মাদ্রাসা,কবরস্থান,ফসলী জমি,স্কুল,সহ বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা। তিস্তার ভয়াবহ ভাঙ্গনে সহায় সম্বল হাড়িয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে প্রায় হাজারও পরিবার।


এ দিকে তিস্তার পানি কমা বাড়ার ফলে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ,দিঘলটারি,কালমাটি,চোংগাডারা,গোকুন্ডা,মোগলহাট আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী,পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না,গড্ডিমারী ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামসহ জেলার প্রায় ১০টি পয়েন্টের দেখা দিয়েছে ভয়াভয় ভাঙ্গন। এসব এলাকায় তিস্তার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাইনি বসতভিটে, গাছ পালা ফসলী জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


তিস্তা পারের বন্যাকবলিত নছিমন বেগম বলেন,গত দুইদিন ধইরা পানির নিচে ডুবে আছি। এখনও কোন সরকার থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চোংগাডারা গ্রামের আঃ মালেক বলেন, গত তিনদিন ধরে বন্যার পানিতে কষ্ট ভোগ করলাম। এখন নদীর পানি নেমে যাচ্ছে এখন ভাঙ্গনের আতঙ্কে পড়ছি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান,তিস্তার পানি কমার পাশাপাশি নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান,বন্যা কবলিত মানুষদের তালিকা করা হয়েছে খুব দ্রুত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে পাশাপাশি যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন