শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

ধামইরহাট গাংরা প্রাথমিক বিদ্যালয়

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নওগাঁর ধামইরহাটে গাংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা আকাশে নিচে পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়ের বয়স শতবছর পেরিয়ে গেলেও শ্রেণীকক্ষ সঙ্কট দূর হয়নি। বার বার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের আশার কথা শোনালেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

জানা গেছে, উপজেলার উমার ইউনিয়নের গাংরা গ্রামে ১৯২০ সালে গাংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এটি উপজেলার অন্যতম প্রাচীন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ে ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরের তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ভবনের একটি কক্ষ অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অপর দুটি কক্ষ ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দুই শিফটে এ বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনা করা হয়। প্রথম শিফটে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠদান চলে। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রথম শিফট থেকে পাঠদান করা হয়। সেক্ষেত্রে মোট শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন চারটি। আছে মাত্র দুটি। প্রয়োজনের তাগিদে সিঁড়ি ঘরটিকে সংস্কার করে শিক্ষকগণ সেটিও ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহার করছেন। শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারণে একটি শ্রেণীকে সবসময় বারান্দায় অথবা বটগাছ না হয় আম গাছের নিচে ক্লাস নিতে হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ১৪১ জন শিক্ষার্থী এবং প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।

বিদ্যালয়ে দুপুুরে গিয়ে দেখা যায়,প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে নিয়ে বটগাছের নিচে খোলা আকাশে পাঠদান করছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন সহকারি শিক্ষক মো.শহীদুল ইসলাম। তবে বটগাছের চারিদিকে সুন্দর করে ইট,সিমেন্ট,বালু দিয়ে বাঁধানো ও পলেস্তার করা হয়েছে। দিনের পর্যাপ্ত আলো,প্রাকৃতিক বাতাস ও গ্রামের মনোরম পরিবেশে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে। তবে বর্ষাকালে তাদেরকে বিম্বড়নায় পড়তে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা.জান্নাতুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কর্তৃপক্ষ অবগত করেছি এবং বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য পাঠানো হয়েছে। যে ভবনে ক্লাস নেয়া হয় বর্ষাকালে সেটির ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। তবে সংস্কার করে সেটি ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে। একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে শ্রেণীর সমস্যা থাকবে না।

উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলী হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। একটি কার্যবিবরণী তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন