দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পক্ষ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে চিলমারীতে ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় ২৯ জুন। বরাদ্দের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নামে মাঝে বিভাজন করে দেয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে ২ মাস কেটে গেলেও বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করা হয়নি। চাল খাদ্যগুদামে পড়ে আছে। অথচ বরাদ্দকৃত চাল জুন মাসেই উত্তোলন দেখানো হয়েছে। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সুবিধাভোগিদের ভাগ্যে জোটেনি সময়মতো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, কি আর কমো হামরা সব সময় তো আমাদের হক মেরে খায় মেম্বার, চেয়ারম্যানরা সাথে তো অফিসাররা আছে। তোমাক কয়াও লাভ নাই। তোমরা কি করবেন ওমরা ভুয়া নাম দিয়ে কৌশলে খায়া ফেলায়। এদিকে বরাদ্দকৃত চাল বিতরন না করেই সু-কৌশলে আত্মসাতের পরিকল্পনাও চলছে বলেও উঠেছে অভিযোগ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়নে ৩০ মে. টনের মধ্যে থানাহাটে ৬ হাজার ৪৫০ কেজি, নয়ারহাটে ৪ হাজার ৯৭০ কেজি, রানীগঞ্জে ২ হাজার ৩৪০ কেজি, রমনা মডেলে ৫ হাজার ৫২০ কেজি, অষ্টমীরচরে ৬ হাজার ৬০ কেজি ও চিলমারী ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬৬০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানদের নামে ডিও দেয়া হয়েছে। তবে এখনো বিতরণের তালিকা পাওয়া যায়নি।
কথা হলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমাকে জুন মাসেই বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন দেখাতে হয়েছে কাগজ কলমে, আর চাল কেন নিচ্ছে না তা চেয়ারম্যানরা জানেন আর বিষয়টি ইউএনও অবগত রয়েছেন। তবে এই কর্তকর্তা আরো জানান, ৩০আগষ্ট পর্যন্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন চাল উত্তোলন করেনি। আমরা তাদের চাল উত্তোলনের জন্য বারবার বলছি। এদিকে অষ্টমীর চর ইউপি চেয়ারম্যান চাল বিতরণ করেছেন বলে জানান। থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, বিভাজন করতে সংশ্লিষ্টরা দেরি করেছে এবং আমরা চিঠি চলতি মাসে পেয়েছি তাই চাল এখনো উঠানো হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আমরা সময় মতো বিভাজন করে চেয়ারম্যানদের নামে বরাদ্দ দিয়েছি তারা এখনো চাল কেন উত্তোলন করেনি তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন