লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে মিজানুর রহমান নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ নেতারা। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করে ওসি'র নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিচার দাবি করে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আহম্মেদ মেলভিন কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসুলের ডোপ টেস্টের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আহম্মেদ মেলভিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তাই আমি জাতীয় শোক দিবসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মিজানুর রহমানসহ শত শত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এতে কতিপয় নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি গোলাম রসুলকে দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মিজানুর রহমানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে থানায় আটকিয়ে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করেন। তাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেন ওসি।
সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত ছাত্রলীগ কর্মী মিজানুর রহমান বলেন, আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে থানায় আটকিয়ে রেখে নিযার্তন করেছেন ওসি গোলাম রসুল। ‘ছাত্রলীগ করা নাকি আমার পাছার ভেতরে ঢুকে দেবে। ’ প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে কটাক্ষ করে খুবই খারাপ মন্তব্য করে গালমন্দ করেন ওসি। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করায় নির্যাতনের খড়গ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, যদি আমার নির্যাতনের জন্য ওসি গোলাম রসুলের বিচার না হয়। তাহলে বলবো ছাত্রলীগ করা কি আমার অপরাধ ? আমি ঘোষণা দিচ্ছি যদি ওসি’র বিচার না হয় আমি আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য ছাত্রলীগ দায়ী থাকবে। ছাত্রলীগ করার জন্যই ওসি'র নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর সংগঠন ছাত্রলীগ নিয়ে যে ওসি বাজে মন্তব্য করেছে, তার বিচার হতেই হবে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসুল বলেন,এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,আমি ছাত্রলীগের কোন কর্মিকে নির্যাতন করিনি।
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ এ ঘটনার বিষয়ে বলেন , ছাত্রলীগ কর্মীকে নির্যাতনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। তদন্ত করে কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন