শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

যশোরের ৩ কলেজের আটকে দেয়া তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশের দাবি

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত যশোরের ঝিকরগাছার তিনটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ৪৮ শিক্ষার্থীর ফল আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে যশোরের প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তারা সবাই ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষের পরীক্ষার্থী ছিলেন। গত ৭ আগস্ট প্রকাশিত ফলাফলে তাদের ‘বহিষ্কার/রিপোর্টেড’ দেখানো হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৮ জন ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিউর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী। অন্যরা শার্শা উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মার্চ মাসে রাষ্ট্রিবিজ্ঞান অনার্স তৃতীয় বর্ষ ২০২০ সালের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ৩১২ নম্বর রুমে পরীক্ষায় বসেন ৪৮ জন। কোনো অভিযোগ ও ঝামেলা ছাড়াই সম্পন্ন হয় পরীক্ষা। কিন্তু গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় মোবাইলে প্রকাশিত ফলাফলে তাদের সবাইকে বহিষ্কার দেখানো হয়। মশিউর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী শারমিলি আক্তার বলেন, প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষে ফাস্টক্লাস পেয়েছিলেন, এবার তৃতীয় বর্ষে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। এখন ফলাফল ‘বহিষ্কার/রিপোর্টেড’ এসেছে। আনোয়ার জাহিদ বলেন, কলেজ বা কোনো কেন্দ্রের ভুলের জন্য যদি আমাদের রেজাল্টে সমস্যা হয় তাহলে বিষয়টি হতাশাজনক, এর সুষ্ঠু তদন্ত করে আমাদের রেজাল্ট প্রকাশিত করা হোক। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীগন।
এদিকে, একসাথে ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশিত না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ প্রধানরাও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। বিষয়টি দ্রুতই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শহীদ মশিউর রহমান কলেজের প্রিন্সিপাল বিপ্রব কুমার সেন বলেন, পরীক্ষা সম্পন্ন করার দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রের। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ চলছে। ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মো. শাহনুর কবীর বলেন, কেন্দ্রের কোন ত্রুটি নেই। ফলাফলে রিপোর্টেড থাকা শিক্ষার্থীদেরকে স্ব স্ব কলেজের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হারুন-অর রশিদ বলেছিলেন, যে শিক্ষকরা খাতা দেখেছেন তারা খাতা পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। এ কারণে ফলাফলে রিপোর্টেড দেখাচ্ছে। এটি সমাধানে জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আবেদন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন