শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

রাজনৈতিক দিগন্তে অশনিসঙ্কেত : আগামীতে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনে দেশব্যাপী জ্বালানি ও অন্যান্য নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে যাচ্ছে তার প্রত্যেকটিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বাহিনী এবং পুলিশ প্রতিদিন লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং গুলিবর্ষণসহ বেপরোয়া হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ প্রতিদিনই এসব হামলার খবর পত্রপত্রিকায় পড়ে যাচ্ছে। তাই সে সব হামলার প্রত্যেকটির পেপার কাটিং আমার কাছে সংরক্ষিত থাকলেও সেগুলো আর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল বেলা এই কলাম লেখার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংবাদ সম্মেলনের রিপোর্ট অনলাইনে দেখলাম। মির্জা ফখরুল বলেছেন, এই ১৪ দিনে সারাদেশে ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। সকলেই জানেন, ভোলায় পুলিশের গুলি বর্ষণে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম এবং জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম নিহত হয়েছেন। মির্জা ফখরুলের পরিসংখ্যান মোতাবেক, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সম্মিলিত হামলায় ২ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া যে ২০ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তারমধ্যে ৪ হাজার ৮১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ২০ থেকে ২৫টি স্থানের কর্মসূচীতে ১৪৪ ধারা জারি করে সরকার কর্মসূচী বানচাল করেছে। এবারের আওয়ামী হামলায় সবচেয়ে ভয়ংকর যে দিক সেটি হলো, বিএনপি নেতাকর্মীদের অফিস, বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে। অন্তত ৫০টি স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালানো হয়েছে।

এবারের আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক হামলায় কতগুলো ডিস্টার্বিং ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা দেশ এবং রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাশীল মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকালের প্রথম পৃষ্ঠায় ৩ কলাম জুড়ে যে খবরটি ছাপা হয়েছে, সেটি রীতিমত আতঙ্কজনক। খবরের শিরোনাম, ‘চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করেন ডিবির এসআই কণক’। খবরে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ও শটগানের পাশাপাশি চাইনিজ রাইফেল দিয়েও গুলি চালিয়েছে। ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কণককে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে পরপর তিন রাউন্ড গুলি করতে দেখা গেছে। ঐ খবরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, কণকের নামে কোনো রাইফেল ইস্যু করা নাই। তার নামে ইস্যু করা আছে পিস্তল। কণক যদি অন্য কারো রাইফেল নিয়ে গুলি করে থাকেন, তাহলে সেটি পুলিশের আইন ও নিয়মের ব্যত্যয়। ঐ খবর মোতাবেক, নারায়ণগঞ্জে ২নং রেলগেটে পুলিশ বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে চাইনিজ রাইফেল দিয়ে কণককে বিএনপি কর্মীদের দিকে সরাসরি গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্রের উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, এক পুলিশ কর্মকর্তা কণককে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, গুলি কোনদিকে ছুঁড়তে হবে। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে সাধারণত শটগান ব্যবহার করতে দেখা যায়। শটগান দিয়ে ছররা বুলেট বা রাবার বুলেট বের হয়। ডিবি কর্মকর্তা কর্তৃক চাইনিজ রাইফেলের গুলি ছোঁড়া সম্পর্কে তিনি জানেন না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু বলেন যে, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ৭ শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।

আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এই যে, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, নিহত যুবদল কর্মী রাজা আহমেদ শাওনের বড় ভাই মোহাম্মদ মিলন হোসেন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে একটি মামলা করেন। এই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৫ হাজার ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। ঐ মামলায় বলা হয়েছে যে, অবৈধ অস্ত্রের গুলিতে তার ভাই মারা গেছে। এব্যাপারে পরবর্তীতে সাংবাদিকরা মিলন হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, তাকে পুলিশ থানায় তলব করে এবং একটি কাগজে সই করতে বলে। তিনি সই করতে বাধ্য হন। পরদিন তিনি জানতে পারেন যে, তার নামে ৫ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আসলে তিনি এই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

শাওনের মৃত্যু আরো একাধিক কারণে রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। একই দিন অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পৃষ্ঠায় ৩ কলামব্যাপী একটি খবর ছাপা হয়েছে। খবরটির শিরোনাম, ‘পুলিশ প্রহরায় গভীর রাতে শাওনের দাফন / শেষ মুহূর্তে আত্মীয় স্বজনকে থাকতে না দেওয়ার অভিযোগ’। খবরের এক স্থানে বলা হয়, জানাজা ও দাফনে নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অংশ নিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শাওনের স্বজনরা। নিহতের ভাই বলেছেন, ‘শাওন পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি’। স্বাভাবিকভাবেই তাহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে শাওন কার গুলিতে মারা গেল? তার দেহে কয়টি গুলি লেগেছিল? নিহতের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে এগুলো পরিষ্কার হবে। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সম্পর্কে পরবর্তীতে আর কোনো খবর চোখে পড়েনি।

॥দুই॥
মাস দেড়েক আগে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল যে, বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ মিছিল করতে দেওয়া হবে। তাদের কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩০ জুলাই ভোলায় দেশের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানা হয়নি। ২ জন বিএনপি নেতা সেদিন পুলিশের গুলি বর্ষণে নিহত হন। ৪ সেপ্টেম্বর ইংরেজি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রথম পৃষ্ঠার খবর মোতাবেক, গত ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের জন্য বিরোধী দলকে যেন হয়রানি করা না হয়। কিন্তু তারপরেও ভোলা এবং নারায়ণগঞ্জে ৩ ব্যক্তির হত্যা এবং গত ১৪ দিনে প্রতিটি সভায় সরকার ও পুলিশ বাহিনীর হামলা এবং হামলা পরবর্তী মামলা দেওয়া হচ্ছে কেন? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ভোলা হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকায় যে শোক সভা হয়, সেখানে লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এরা সকলেই বিএনপির নেতাকর্মী নন। এরা স্বতস্ফূর্তভাবে শোকসভায় এসেছিলেন। এরপরে দেশে যতগুলো কর্মসূচী বিএনপি পালন করে তার প্রত্যেকটিতে মানুষের ঢল নেমেছিল। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে এবং সরকারি এজেন্সিসমূহের মাধ্যমে সরকার প্রতিদিন খবর পাচ্ছিল যে, এসব কর্মসূচীতে জনগণ বিপুল পরিমাণে অংশগ্রহণ করছে। আওয়ামী লীগ ভয় পায় যে, এভাবে যদি বিএনপির কর্মসূচীতে বিপুল সংখ্যায় জনগণের যোগদান অব্যাহত থাকে, তাহলে শুধু জনগণ নয়, খোদ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়েও এই বার্তা যাবে যে, পুলিশের ছত্রছায়া ছাড়া আওয়ামী লীগ একা বিএনপি তথা বিরোধী দলকে রাজপথে মোকাবেলা করতে পারবে না। আর সেটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল আরো বেশি করে উজ্জীবিত হবে এবং আরো বিপুল শক্তি নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে।
এই পটভূমিতে সরকার তার পূর্ববর্তী রাজনৈতিক উদারতা প্রদর্শনের ঘোষিত নীতি থেকে সম্পূর্ণ ইউটার্ন করেছে। রাজনৈতিক সমীক্ষকগণ বলছেন যে, ৩ মাস আগেও গণমাধ্যমের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিএনপিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছিল। সেই গণমাধ্যম, যাদের মধ্যে সরকারপন্থী পত্রপত্রিকাও রয়েছে, তারাও তাদের পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রতিদিন আওয়ামী ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার খবর ছবিসহ ফলাও করে প্রচার করেছে। গণমাধ্যমের কাভারেজ পেয়ে জনগণ আরো বেশি সংখ্যায় বিএনপির কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে। কারণ, তারা দেখেছে যে, বিএনপি যেসব দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে সেগুলো তাদেরও দাবি। লোডশেডিং, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অবিশ্বাস্য মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই জনগণ এভাবে যোগ দিচ্ছে। এর ফলে সরকার সর্বোচ্চ হার্ড লাইন গ্রহণ করেছে। সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে খবরগুলিতে। ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর লিড স্টোরির হেডলাইন, ‘বিএনপির ওপর আরো কঠোর হবে সরকার’। খবরের ইন্ট্রোতে বলা হয়েছে, ‘সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছিল, কর্মসূচীতে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু ২২ আগস্ট থেকে মারমুখী হয়ে ওঠে সরকারি দল ও পুলিশ।’ সরকার এখন বিএনপিকে তার পূর্ণ শক্তি নিয়ে রাস্তায় নামতে দেবে না। বিএনপি যদি চেষ্টা করে তাহলে সেই চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

॥তিন॥
প্রথম আলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিএনপির কর্মসূচীর ওপর নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মিছিলে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাঠের রাজনীতিতে অভিজ্ঞ আওয়ামী লীগ দিব্য দৃষ্টিতে দেখেছিল যে, যেভাবে বিএনপি নিজেরা এবং বিরোধী দলের অন্যান্য মিত্রদের নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে যদি বাধা দেওয়া না হয়, তাহলে বিএনপি বেশি দেরি না করে একদফা আন্দোলন, অর্থাৎ সরকার পতন আন্দোলনে নেমে পড়বে। আবার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অপর একটি অংশ মনে করেন যে, বিএনপির বিরুদ্ধে যেরূপ সাঁড়াশী অভিযান চলছে সেটি আসলে সরকারের একটি ফাঁদ। এই দমননীতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি বিরোধী দলীয় অন্যান্য মিত্রকে নিয়ে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বে, আর তখন আওয়ামী লীগ লৌহ কঠিন হস্তে বিএনপিকে এমনভাবে দমন করবে, যাতে আগামী নির্বাচনের আগে তারা আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে না পারে।

এখন কঠোর বাস্তবতা হলো এই যে, সরকার পক্ষ এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী পক্ষ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। সরকার হিসাব করেছে যে, ঢাকায় যদি স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয় তাহলে সেটি সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। তাই ৪ সেপ্টেম্বর এক শ্রেণীর পত্রপত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, সরকারের নির্দেশে পুলিশ ঢাকায় বিরোধী দলের পাড়া ও মহল্লার নেতা ও কর্মীদের তালিকা তৈরি করছে। উদ্দেশ্য, আগামীতে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল ঢাকায় আন্দোলন শুরু করলে কঠোর দমননীতির মাধ্যমে সেই আন্দোলন যেন অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা যায়। বিএনপি সূত্রে জানা যায় যে, ১০ সেপ্টেম্বরের পর তারা নতুন করে কর্মসূচী ঘোষণা করবে। কিন্তু তাই বলে হরতাল অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচীতে এই মুহূর্তেই তারা যাবে না। আবার তারা মাঠও ছাড়বে না এবং কর্মসূচী দেবে। এভাবে ধাপে ধাপে কর্মসূচী দিয়ে তারা রাজপথ দখল করবে এবং উপযুক্ত সময়ে একদফা আন্দোলনে নেমে পড়বে।

বিএনপির এই স্ট্র্যাটেজি আওয়ামী লীগও বুঝতে পেরেছে। তাই তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারাও বিএনপিকে মাঠে নামতে দেবে না। গত কয়েক দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুবলীগ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামস পরশ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন যে, আন্দোলনের নামে বিএনপির অরাজকতা সৃষ্টির যে কোনো অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ আগামীতে দেশের রাজনৈতিক দিগন্তে অশুভ সংকেত দেখতে পাচ্ছেন। বিএনপি এবং তার মিত্ররা পিছু হটবে না। আর আওয়ামী লীগও তাদেরকে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত। সব মিলিয়ে এক মারাত্মক সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি আগামীতে দেশের জন্য অপেক্ষা করছে।

Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Shik Riyan Rujen ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৫৮ এএম says : 0
আমাদের সরকার এই দেশটাকে পুরাই গিলে ফেলেছে, আর এদিকে আমরা বাঙালি শেষ
Total Reply(0)
MD Oli ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৫৯ এএম says : 0
রাজনৈতিক দল হিসেবে সব দলই মিটিং মিছিল করার অধিকার আছে সেখানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিন্দা জানাই
Total Reply(0)
Noor Khondokar ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৫৯ এএম says : 0
জালিয়াত যদি বলে আমরা চাই জালিয়াত মুক্ত এই কথাটি খুবই হাস্যকর , আর চোরের মুখে ধর্মের কাহিনী শুনতে হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে
Total Reply(0)
Mohammod Azizul Haque ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৫৯ এএম says : 0
পরিবারতন্ত্র ,প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধমূলক নোংরা রাজনীতির কারণে আজ কত নিরীহ মায়ের খোল খালি।
Total Reply(0)
Md Abul Kalam Azad ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:০০ এএম says : 0
বিএনপি শান্তি পূর্ণ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের নিরাপত্তা চায় অবৈধভাবে ক্ষমতা চায় না।
Total Reply(0)
Saidul Karim ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:০০ এএম says : 0
হিংসার রাজনীতি শিখানোর জন্য, আমাদের দেশের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও নেতারা দায়ী। মতামতের ভিন্নতার কারনে বাংলাদেশে একদল আরেক দলের উপর যেভাবে চড়াও হয়, তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। প্রত্যেক দলের নেতা কর্মীদের সহনশীল হওয়া উচিৎ।
Total Reply(0)
jack ali ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৩৪ পিএম says : 0
ও আল্লাহ আওয়ামী জঙ্গি কাফের মতবাদ গণতন্ত্র ধ্বংস করে আল্লাহ তোমার জমিনে তোমার আইন চালাও তাহলে আমরা একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারব
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন