শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

২০১৪ সালে আপনারা ভোট দেন নাই খোদা আমাকে এমপি বানিয়েছে

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি খোদা আমাকে এমপি বানিয়েছে, আপনারা না। কথা সত্য না মিথ্যা? আমাকে আপনারা ভোট দেন নাই। আমি আপনাদের কাছে আমি ভোট চাইতে আসি নাই।
ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনের ভেতরে বাইরে। গত শনিবার বিকালে নান্দাইল উপজেলা মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া বাজারে ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, জবাব চাই, আপনাদের কাছে। জবাব মুখে দিতে হবে, পারবেন না দিতে। ভালো না লাগলে সোজা চলে যাবেন, উল্টো দিকে। আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু আমি যা কথা বলবো, প্রশ্ন করবো, জবাব আপনাদের দিতে হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি খোদা আমাকে এমপি বানিয়েছে, আপনারা না। কথা সত্য না মিথ্যা। পিছনের মানুষ কি বোবা ? আমি প্রত্যেকটা মানুষের জবাব চাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি খোদা যখন আমাকে এমপি বানালো তখন আমার সাথে যিনি (সাবেক মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম) ছিলেন, তিনি আমার সমপর্যায়ের মতো মানুষ ছিলেন না। তিনি অনেক বড় মানুষ ছিলেন। ওনি দেখতে সুন্দর, আমার চেয়ে লম্বা দুই, তিন, পাঁচ, ছয় ইঞ্চি লম্বা ছিলেন। এদেশের মানুষ কি তখন ভেবে ছিল জেনারেল সাহেবের (সাবেক মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম) হঠাৎ করে বিদায় হবে। আর তুহিনের হঠাৎ করে নান্দাইলে আগমন হবে, আপনারা চান নাই। এমনও মানুষ আছে আমাকে আপনারা চিনতেন না। এমনও মানুষ আছে, রাজনীতির বাইরের মানুষ আমাকে জীবনে দেখেন নাই, কথা ঠিক না বেঠিক ?
এমপি তুহিন বলেন, নান্দাইলের মানুষ অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল, নান্দাইলের মানুষ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। নান্দাইলের আলেম সমাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারতো না। ভোর রাতে ফজরের আজানের সময় মসজিদে আযান দিতে পারতো না নরতকির নাচের আওয়াজে। তখন মানুষ কষ্ট পেত। ঠিক তেমনি এক মুহুর্তে খোদা তাকে (সাবেক মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম) জব্দ করলেন, আমার মতো তুচ্ছ মানুষকে এমপি বানালেন। আমাকে আপনারা ভোট দেন নাই। আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসি নাই। সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল বলেন, এমপি সাহেব এমন কোন কথাই তার বক্তব্যে বলেননি। একটি কুচক্রি মহল সুপার এডিট করে ভিডিওটি ফেসবুকে একটি ফেইক আইডি থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে। আমরা তাকে খোঁজ করছি, তাকে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন জানান, এগুলো কাষ্টিং করে আসল কথা বাদ দিয়ে শুধু এইটুক রাখছে। আমার বিরুদ্ধে লোক আছে না ভাই, এগুলো অন্য চোখে দেখেন ভাই। ঘটনা হচ্ছে এলাকায় আমার একটি প্রতিপক্ষ আছে, না হলে এই ভিডিও কেন আমার ছেলেরা মোবাইলে ছাড়বে। আপনি অন্য একটা ভিডিও দেখেন, এটাও দেখেন। দুইটার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন