শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সজলের অবস্থান কর্মসূচিতে সাড়া নেই শাবি প্রশাসনের

শাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৩৬ পিএম

হারানো ক্যাফেটেরিয়া ফিরিয়ে দেয়া, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার, ভিসি বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদেরকে দেয়া ‘সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের’ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে ৩য় দিনের মতো দাঁড়িয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার ঘটনায় আহত সজল কুন্ডু। রোববার থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

নিজের তুলে ধরা দাবিগুলো ন্যায্য ও অত্যন্ত যৌক্তিক বলে মনে করেন সজল। তিনি বলেন, আমার ৩দফা দাবি ন্যায্য ও অত্যন্ত যৌক্তিক। আমি আশা করি আমার দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে। সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের দেয়া মামলা তুলে নেয়া হবে এবং আমার রোটিরুজির শেষ সম্বল ক্যাফেটেরিয়া আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।


সজল মনে করেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিরোধী আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে যাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক ও ন্যায্য’ আন্দোলনের অংশ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার কাছ থেকে ক্যাফেটেরিয়া কেড়ে নেয়া হয়েছে। সজল বলেন, ঈদের ছুটিতে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে চাবি নিয়ে যায় প্রশাসন। ঈদের পর পুনরায় চাবি চাইলে তাকে নতুন নীতিমালার কাগজ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলে। তাদের কথা মতো আমি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ফর্ম, ডিনস সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আমাকে চাবি দিতে বললে অফিস থেকে আমাকে বলা হয়, স্যার আপনাকে চাবি দিতে নিষেধ করেছেন, নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে। দরপত্র আহ্বান বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরে যে পাবে তাকে (ক্যাফেটেরিয়া) দেয়া হবে।
সজল কুন্ডু বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক একটা নিপীড়ক প্রশাসক, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা শোষক। প্রায় ৮ মাস আগে ১৬ জানুয়ারি পুলিশ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে প্রহার করা হয়, গুলি করা হয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। তখন আমি মারাত্মকভাবে আহত হই, আমার শরীরে প্রায় ৮৩টির মতো স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। এর পর বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করা হয়েছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে সে মামলাগুলো উঠানোর কথা ছিল। মামলাগুলো এখনো উঠানো হয় নাই। আন্দোলনের পূর্ব থেকে আমি যে আইআইসিটির ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে ছিলাম আমার সেই রোটিরুজির জায়গা, শেষ সম্বল ক্যাফেটেরিয়াটাও এই প্রতিহিংসা পরায়ণ প্রশাসক আমার কাছ থেকে অন্যায়ভাবে নিয়ে নিয়েছে। আমি গুলি খাইলাম, আমি মাইর খাইলাম, আমাকে যেখানে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ছিল সেগুলো কোনোকিছু দেয়া হলো না।


সজল জানান, পুলিশি হামলায় দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ফিরে ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, ক্যাম্পাস স্বাভাবিক হওয়ার পর আমি ২য় দফায় ক্যাফেটেরিয়া চালু করি। চালু করার পর আমি বুঝতে পারি আসলে কোথাও কিছু একটা হয়েছে। যারা আমার কাজের প্রতি সন্তুষ্ট ছিল তাদের হঠাৎ করে কি যেন হলো। আমার ওপর নতুন নতুন বিধি নিষেধ প্রয়োগ হতে থাকে এবং আন্দোলনের পরে ২৯ মার্চ পুরাতন নীতিমালা নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং হয়রানিমূলক। অযৌক্তিক নিয়ম দেখিয়ে আমাকে ক্যাফেটেরিয়া থেকে বের করে দেয়া হয় এবং ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ করে রাখা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন