রাজপথে বিএনপির সক্রিয়তা দমনে বগুড়ায় নতুন করে শুরু হয়েছে মামলা,অজ্ঞাতনামা আসামির সুযোগ নিয়ে পুলিশের
হয়রানি।
টার্গেট করে শুরু হয়েছে পুলিশের তল্লাশী ও হয়রানি।
বগুড়া বিএনপির একাধিক সুত্রে
জানাগেছে,গত ১ সেপ্টেম্বর বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভা সমাবেশ পন্ড হয়ে যায় আওয়ামী লীগের পাল্টা সমাবেশের আহ্বান করাকে ঘিরে।
পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখায় বিএনপি নিস্ক্রিয় হয়ে যায়।
তারপরও ছলছুতার সুত্র ধরে নন্দীগ্রাম থানায় ২৬ বিএনপি নেতা কর্মির বিরুদ্ধে মামলা করা
হয়েছে। এই মামলায় ২৬ নেতা কর্মির মধ্যে গত রোববার ২ জন এবং মঙ্গলবার আরও ১৮ জন সহ মোট ২০ জন বিএনপি নেতা কর্মি জামিন নিয়েছে আদালত থেকে।
তবে অন্য একটি বিষ্ফোরক ও
নাশকতার মামলায় অজ্ঞাত সংখ্যক আসামি থাকার বিষয়টি নন্দীগ্রাম বিএনপির সর্বস্তরের
নেতা কর্মির রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।
তৃনমুল পর্যায়ের একাধিক নেতা কর্মি মঙ্গলবার ইনকিলাবকে জানান,পুলিশ ও পুলিশের সোর্স
গ্রাম, ইউনিয়ন পর্যায়ে, হাটবাজারে বিএনপি নেতা কর্মিদের নাম ধরে খোঁজ খবর নিচ্ছে। এতে করে গ্রামে গ্রামে
পুলিশী আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
অপরদিকে গত ২ সেপ্টেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় একটি জনসমাবেশ বানচাল করতে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন সমুহের নেতা কর্মিরা সরাসরি পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় শিবগঞ্জ উপজেলা জুড়েই ব্যাপক তান্ডব চালায়। তারপরও ওই সমাবেশে
রিজভী আহম্মেদ প্রধাণ অতিথি ছিলেন বিধায় বিএনপি নেতা কর্মিরা জীবনবাজী রেখে শান্তিপুর্ণভাবে সমাবেশটি সম্পন্ন
করে।
অথচ পরদিনই উল্টো ১৯৯ জন নেতা কর্মিকে আসামি করে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মামলা করে।
একই সময়ে রাজধানী ঢাকায় বগুড়া বিএনপির সিনিয়র নেতা
মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবনে পুলিশ তল্লাশী চালায়।
কেন এই তল্লাশী ও হয়রানি জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বলেন, হঠাৎ করে যেন বগুড়া থেকে আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ দাবানলের
মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেকারণেই বগুড়াকে টার্গেট করে এই পুলিশী দমন-পীড়ন চলছে। তবে তাতে
কোন লাভ হবেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন