শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দু’দিন বন্ধের পর নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের গোলাগুলি

এপারে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক

স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দুই দিন বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ফের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। এছাড়া রেজু সীমান্তের কাছে গতকাল সকালের দিকে হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার পর থেকে আকাশে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালে ও কোন কিছুর তোয়াক্কা করেছে না মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এতে এপারে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, গত শনিবার পর্যন্ত টানা ২৩ দিন রাখাইন রাজ্যের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছিল। এ সময় আরকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে আসছিল মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। কিন্তু গত রোববার সকাল থেকে হঠাৎ গোলাগুলি থেমে যায়। গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত দুই দিন সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির কোনো শব্দ আসেনি। আকাশেও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার দেখা যায়নি। গতকাল সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এবং শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তে বসবাসরতরা মনে করেন, এসব ঘটনা ঘটতে থাকলে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবির সদস্যরা সীমান্ত টহল জোরদার করায় রোহিঙ্গাদের পক্ষে সহজে অনুপ্রবেশ সম্ভব হয়ে উঠছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানিয়েছেন, সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘুমধুমের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, ফাত্রাঝিরি, রেজু, আমতলীসহ বিভিন্ন এলাকা এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এদিকে, সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ব্যাটালিয়ন ২০ ইসিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ রিয়াসত আজিম জানিয়েছেন, সীমান্ত উত্তেজনার কারণে গত ১৫ দিন যাবৎ সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সড়কটির নির্মাণ কাজ ফের চালু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বরাবর সীমান্তের মিয়ানমার অভ্যন্তরে অজস্র গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরতরা।নিরাপত্তার কারনে সীমান্তের সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। সীমান্ত এলাকার পাহাড়গুলো থেকে গাছ, বাঁশ, লাকড়ি সংগ্রহকারী দিনমজুরেরা এখন সেখানে যেতে পারছেনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন