বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্ব) সকাল থেকে সীমান্তে থেমে থেমে চালানো গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এর আগের দিন ৬ সেপ্টেম্বর ও গুলাগুলি হয়েছে।
আজ সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গুলিবর্ষণের পাশাপাশি থেমে থেমে আর্টিলারি ও মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে ১৫ থেকে ২০টি। এতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, গত শনিবার পর্যন্ত টানা ২৩ দিন রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর তুমূল লড়াই চলছিল। এ সময় আরাকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে আসছিল মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী।
রবিবার সকাল থেকে হঠাৎ গোলাগুলি থেমে যায়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দিন সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির কোনো শব্দ আসেনি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শুরু হয়। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এবং শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই এলাকায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ জানান, আজ সকাল সোয়া ৮টার দিকে আশ্রয়শিবিরের পেছনের পাহাড়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পাহাড়ের চূড়ার বিজিপির চৌকি থেকে খ্য মং সেক পাহাড়ের দিকে থেমে থেমে ছোড়া হয়েছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০টি আর্টিলারি ও মর্টার শেল ছোড়া হয়েছে। তাতে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা আতঙ্কিত।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমরা লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। । বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন