তিনমাস বন্ধ থাকার পর বাঁশ পরিবহণ চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটি কাপ্তাই আপষ্ট্রিম জেটিঘাটে নদী হতে ট্রাকে বাঁশ বোঝাইও পরিবহন করতে দেখা যায়। বাঁশের বংশ বিস্তার ও প্রজননের জন্য( জুন হতে আগস্ট) এ তিন মাস সকল ধরনের বাঁশ কর্তন ও পরিবহণ বন বিভাগের পক্ষ হতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। বাঁশ বংশ বিস্তারের জন্য রাইজোম এর মাধ্যমে আবার কোন কোন বাঁশ বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে থাকে।কিন্ত এ তিন মাস বাঁশ প্রজনন মৌসুম বিধায় পার্বত্যঞ্চলে সকল ধরনের বাঁশ কর্তন ও পরিবহণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এবং এ মেয়াদ ২সেপ্টেম্বর ২২ইং তারিখ তুলে নেয়া হয়।এদিকে কাপ্তাইয়ে আপষ্ট্রিম জেটিঘাটে গিয়ে দেখাযায় ব্যবসায়ীরা বাঁশ ট্রাক বোঝাই করছে পরিবহণের জন্য। বাঁশ ব্যবসায়ী আব্দু্ল মন্নান ও আবুল কাশেম জানান ২সেপ্টেম্বর হতে বাঁশ পরিবহণের চালু করা হলেও বিভিন্ন জটিলতা ও ট্রাক পরিবহণভাড়া বৃদ্বি পাওয়ায় বাঁশ ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ রাখে। গত বুধবার বাঁশ ব্যবসায়ী, ট্রাক মালিক এদের নিয়ে জটিঘাট বাঁশ ব্যবসায়ী সমিতি কার্যালয়ে একটি জরুরী সভার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার হতে পূণরায় বাঁশ পরিবহণ চালু করা হয়। আবুল কাশেম নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন আগে একট্রাক বাঁশ বোঝাই করে ঢাকা নিতে ট্রাকভাড়া লাগত ৩৩হাজার ৩৭০টাকা। কিন্ত তেলের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বর্তমান একটি ট্রাক বোঝাই বাঁশের গাড়ি ঢাকা নিতে মূল্য হচ্ছে ৪০হাজার ৩৭০টাকা। এতে বাঁশ ব্যবসায়ীর মাথায় হাত।বাঁশের চেয়ে পরিবহণ মূল্য বৃদ্বি। যার ফলে ব্যবসায়ীরা আগামিতে বাঁশ ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হয়ে পথে বসার শঙ্কা প্রকাশ করছে। বাঁশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ফজল আলম ও নুরুল আলম বাটন জানান ক্ষতি পোষাতে না পারলে আগামিতে পার্বত্যঞ্চল হতে বাঁশ ব্যবসা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। কোন ব্যবসায়ীরা লস দিয়ে ব্যবসা করবেনা। যার ফলে সরকার রাজস্ব হারাবে,এবং পাশাপাশি ট্রাক পরিবনহণ ও ব্যবসায়ীর ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। কাপ্তাই জেটিঘাট বনশুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ি স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন জানান প্রতি বছরের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ হতে জুন হতে আগস্ট বাঁশ বংশ বিস্তারের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার ফলে এই তিনমাস কোন ধরনের বাস পার্বত্য অঞ্চল হতে পরিবনহণ বন্ধ থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন