নাটোরের লালপুরে বিএনপির কর্মসূচীতে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে বে-নামে মামলা ও ধরপাকড়ের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তীব্র নিন্দা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, গত মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে লালপুর উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। লালপুর উপজেলা বিএনপির ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নৃশংস হামলা ও গুলি চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করলেও পুলিশ উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে উল্টো বিএনপি নেত্রী পুতুলসহ ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন, হারুনার রশিদ পাপ্পু, গোলাম মোস্তফা তুহিন ও রহিম নেওয়াজসহ ৫৮ জন এজাহারনামীয় অজ্ঞাতনামা আরো ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দেয় পুলিশ। তিনি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং আহত নেতাকর্মীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
এদিকে এ মামলায় মঙ্গলবার রাতে থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ উপজেলা যুবদল নেতা গোলাম মোস্তফা তুহিন (৪২), ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি নেতা মহির উদ্দীন (৪৫) কে ও বুধবার রাতে উপজেলা ছাত্র দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মানজুরুল ইসলাম মিলন (২২), লালপুর বিএনপির সদস্য মনসুর ও জহিরকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জ্বালানি তেল সহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় নাটোরের লালপুর উপজেলা বিএনপি। বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে একটি মিছিল পালিদহ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করে বিএনপির কর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কয়েকজন বিএনপি কর্মী আহত হন।
লালপুর থানার (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, মিছিলে বিএনপির লোকজন কে লাঠি নিয়ে যেতে নিষেধ করাই তারা পুলিশের উপরে চড়াও হয় এবং পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে রাস্তার পাশের একটি সিএনজি ভাঙচুর করে। পরে আমরা তাদের নীর্বিত করার জন্য দুই রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করি। পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে এজাহারনামীয় ৫৮ জনসহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এমামলায় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন