খাদ্যবান্ধব, ওএমএস ও টিসিবির প্রভাবে প্রতি কেজিতে চালের দাম কমেছে ৫ থেকে ৬ টাকা। আরো কমবে। সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে খাদ্যবান্ধব, ওএমএস ও টিসিবি দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচিতে অপেক্ষাকৃত পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠি, দরিদ্র নিম্ন আয়ের পরিবার ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁর পোরশার সরাইগাছী মোড়ে ওমমএস বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা করেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমন ধানেও কৃষকরা যেন নায্যমূল্য পায় তা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্রদের ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ওএমএস সপ্তাহে ৫ দিন চলছে। সারাদেশে ২ হাজার ৩৭০ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হচ্ছে। আগে একজন ওএমএসের ডিলার এক টন চালের বরাদ্দ পেতেন। এবার প্রত্যেক ডিলার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাচ্ছেন। টিসিবি কার্ডধারীরা কার্ড দেখিয়ে এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে মাসে দুই বার ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।
এক ব্যক্তি যাতে বার বার চাল কিনতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ সময় মন্ত্রী উপকারভোগী সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে খোঁজখবর নেন। তাঁর সঙ্গে খাদ্যবিভাগ, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন