ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কমেছে।
হিলি ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগেও এই চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার করতেন। বর্তমানে ২৫০ থেকে ৩০০ যাত্রী যাতায়াত করছে।
গত ২ বছর মহামারি করোনা’র কারনে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিলো। এবারে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকায় হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দুর্গাপূজায় দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার দ্বিগুন বাড়তে পারে। যাত্রীরা বলেন, দেশের ২য় স্থলবন্দরে রেল যোগাযোগ ভালো না, নাম মাত্র কয়েকটি ট্রেন দাঁড়ায়। রেল যোগাযোগ ভালো হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার আরও বৃদ্ধি পাবে।
হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতগামী এক যাত্রী বলেন, অনেক দিন ধরে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা হয় না। এখন সময় পেয়েছি তাই তাদের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে যাচ্ছি। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় টাকার মান কমে গেছে। ফলে খরচটাও বেড়েছে।
ভারত থেকে আসা এক যাত্রী বলেন, বাবার চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইতে যাই। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলাম। ডলারের দাম বাড়ায় সীমান্তে কিছুটা বেশি অর্থ খরচ হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন ইনচার্জ বদিউজ্জামান বলেন, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গত এক মাসের তুলনায় যাত্রী যাতায়াত কিছুটা কমে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে যাত্রী পারাপার কমেছে। ব্যবসা, চিকিৎসা ও শিক্ষা ভিসায় সবচেয়ে বেশি লোকজন যাতায়াত করেন এই পথ দিয়ে। ভ্রমণে মানুষ কম যাওয়া-আসা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন