বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনবাহিনী ও আরকান আর্মীর মাঝে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে । শনিবার (১০ সেপ্টেম্ব) সকাল থেকে সীমান্তে থেমে থেমে চালানো গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে ১ টি চাইনিজ রাইফেলের গুলি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়েছে। এতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মাঝে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।
এলাকাবাসী জানান, সীমান্তর ৩৪ এবং ৩৫ নাম্বার পিলারের মাঝখানে মিয়ানমারের ৩ কিলোমিটার ভিতের যুদ্ধ চলছে। এ সময় ১ টি চাইনিজ রাইফেলের গুলি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়েছে।
এদিকে ঘুমধুম সীমান্ত ঘেঁষে ৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বোমা ও গুলি আতংকের কারণে স্কুলে যেতে পারছেনা। এতে পড়াশোনায় চরম ব্যাঘাত হচ্ছে । কবে নাগাদ এ আতংক থেকে মুক্তি পাবে কেউ সদুত্তর দিতে পারছে না।
পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মাঝখানে ২ দিন বন্ধ থাকলেও আজ শনিবার পর্যন্ত টানা ২৯ দিন রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর তুমূল লড়াই চলছে। এ সময় আরাকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে আসছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমরা লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। । বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক অবস্হায় বিজিবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন