বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আ. লীগ সরকারকে হঠাতে চাই আমরা। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার চাই। বাংলাদেশে আজ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। ভোট ডাকাতির সরকার এ অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এ অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার না ফেরানো পর্যন্ত বিএনপি মাঠ ছাড়বে না, আন্দোলন চালিয়ে যাবে। গতকাল সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি।
নগরীর রেজিস্টারি মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে দুপুর ২টার দিকে বক্তব্য প্রদান শুরু করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদী লুনা, ড. এনামুল হক, বিএনপির সহ ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম প্রমুখ। এর আগে গতকাল সকালে শুরু হওয়া সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় সিলেট জেলা যুবদলের সম্মেলন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব পাচ্ছে জেলা যুবদল। গতকাল দুই অধিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলন। প্রথম অধিবেশনে বিএনপি ও যুবদলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ।
সিলেটের ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভা থেকে আগত কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেন। সভাপতি পদে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাড. সাঈদ আহমদ, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাড. মুমিনুল ইসলাম মুমিন, জেলা যুবদলের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাহেদ আহমদ চমন প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মকসুদ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান নেছার ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লিটন আহমদ। নেছার ও লিটন জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এদিকে, সম্মেলন ঘিরে যুবদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। গতকাল সকাল থেকেই শত শত নেতা-কর্মী মিছিল সহকারে হাজির হন সম্মেলনস্থলে। নেতা-কর্মীদের মিছিল, স্লােগানে সম্মেলনস্থলে উৎসব মুখর পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লােগান দেন নেতা-কর্মীরা।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের টাকা চুরি করে কোথাকার কোন আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৪২তম ধনী হয়, আর এদিকে দরিদ্র হয় দেশের মানুষ। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেল, তার কোনো খোঁজ নাই। এভাবে নির্বাচনের আগে এই সরকার সবকিছু শেষ করে দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ৪০ বছর পর যদি শেখ মুজিব হত্যার বিচার হয়, তাহলে আরও ৪০ বছর পরে হলেও আগামী প্রজন্ম আ.লীগের চুরি-ডাকাতিরও বিচার করবে। এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
এ সময় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বাকশাল থেকে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের মানুষ সেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায়। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি সিলেটের মাটি থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন