শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কমিটি গঠনে বাণিজ্য ও আত্মীয়করণের অভিযোগ বগুড়া বিএনপির বিরুদ্ধে

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বগুড়া বিএনপির বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্য ও আত্মীয় করণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির একদল বঞ্চিত, ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী নেতাকর্মী লিখিতভাবে এই অভিযোগ করেছেন।

বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য আলী হায়দার তোতা বলেন, তিন বছর আগে গঠিত এই আহ্বায়ক কমিটি সরকার বিরোধী আন্দোলনে চুল পরিমাণ ভূমিকা রাখেনি। এখন হঠাৎ করেই জেলা ও উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের বাধ্যবাধকতার কারণে তড়িঘড়ি করে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তারেক রহমানের নির্দেশিকা মানা হচ্ছেনা। টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা হচ্ছে। কোটারিভুক্ত নেতাদের বাবা, ভাই এমনকি বউদেরও কমিটিতে রাখা হচ্ছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে আলী হায়দার তোতা বলেন, বিএনপির খোট্টাপাড়া ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মতির দুই বউ, দুই শ্বশুর ও নিজের পিতাকে সদস্য করা হয়েছে। একই ইউনিয়ন কমিটির সেক্রেটারি আবুল বাশারের দুই বউ ও দুই শ্বশুরকেও সদস্য করা হয়েছে। দলের ত্যাগী ও মামলায় জর্জরিত নেতা কর্মীরা এতে বঞ্চিত, হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, এসবই করা হয়েছে শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক নেতা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাতকারী এনামুল হক শাহীনকে সভাপতি বানানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে।

এই লক্ষ্য হাসিলের কু উদ্দেশ্য সামনে রেখে তারা জনপ্রিয় বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশারের সদস্য পদ ছয়মাসের জন্য স্থগিত করানো হয়েছে, যা নজিরবিহীন ও হাস্যকর ঘটনা। তাই বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও নতুন করে স্বচ্ছতার সাথে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান তোতা।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জাহেরুল, আতিকুর রহমান আতিক,আসাদুর রহমান অটলসহ শাজাহানপুর উপজেলার শতাধিক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা জানান, এইসব অনিয়মের ব্যাপারে মৌখিক ও লিখিতভাবে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে প্রতিকার চেয়েও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়েই তারা মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন যাতে তাদের বক্তব্য লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন