রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাদারীপুর পৌরসভায় ১ঘন্টার বৃস্টির পানি নামতে সময়লাগে ২৪ ঘণ্টা

নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থা

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রির্পোটার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৫২ পিএম

নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারনে সামান্য বৃষ্টিতেও ডুবে যায় মাদারীপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা। মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টি হলে জমে থাকা পানি নামতে লাগে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী।গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃস্টিতে এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ন্যূনতম নাগরিক সেবা না পাওয়া স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতেও তলিয়ে যায় মাদারীপুর পৌরসভার হামিদ আকন্দ সড়কের এক কিলোমিটার এলাকা। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েন পৌরবাসী। একই অবস্থা ডা. অখিল বন্ধু সড়ক, শহীদ মানিক সড়ক, মন্টু ভুইয়া সড়ক, শহীদ বাচ্চু সড়কসহ অধিকাংশ সড়কের। বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টির পানি নামতেই লাগে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চললেও উদাসীন কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যা নিয়েই বসবাস করছেন পৌরবাসী। আর দুর্ভোগের শেষ নেই যাত্রী, চালক ও পথচারীর।
মাদারীপুর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়ে ১৪ বর্গ কিলোমিটারের মাদারীপুর পৌরসভা ১৯৯১ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা পায়। ভূমি কর, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিবছরই একশ’ কোটি টাকা আয় করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি মৌজায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার বাসিন্দা মো: কামাল হোসেন বলেন, এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিক বাড়িঘরেও পানি উঠে যায়। কবে এ অবস্থার শেষ হবে, কেউ জানে না।
মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য খান মো. শহীদ বলেন, পৌরবাসী কর দিয়ে নাগরিক সুবিধা পাবে এটাই নিয়ম। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতে পৌরসভায় জলাবদ্ধতা এটা কাম্য নয়। সবার একটাই প্রত্যাশা শিগগিরই আধুনিক ড্রেন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে এই জলাবদ্ধতা থেকে যেন পৌরবাসীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হাতে নেওয়া হয়েছে বৃহৎ প্রকল্প। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে এরজন্য অন্তত দুই বছর সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন