বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যশোর সদর হাসপাতালের দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সার্জিক্যাল, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ৮ কোটি ৯ লাখ টাকার টেন্ডারে (দরপত্র) অংশ নিতে চাওয়া মাগুরার দুটি সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শিডিউল ছিনতাই করেছে দুবৃর্ত্তরা। গত সোমবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের তত্বাবধায়কের কার্যালয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটির অভিযোগ, হাসপাতালের ৮ কোটি ৯ লাখ টাকার টেন্ডারের মধ্যে ৬ কোটি টাকার ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রীর টেন্ডার ড্রপ করতে গেলে পুলিশ-র‌্যাবের উপস্থিতিতে তাদের ঠিকাদারি ফার্মের ১৩টি সিডিউল পেপার ছিনতাই করে নিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। টেন্ডার ড্রপের আগমুর্হূতে দরপত্রগুলো পে অর্ডার ফেরত দিয়ে শিডিউল ছিনতাই করেছে। এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, টেন্ডার স্থগিত ও পুনরায় দরপত্র সিডিউল সরবরাহ করার কোন সুযোগ নেই। ছিনতাইয়ের বিষয়ে তারা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। জানা গেছে, সোমবার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের এমএসআর ৮ কোটি ৯ লাখ টাকার টেন্ডার ড্রপের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮১টি দরপত্র সিডিউলের ড্রপ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরার দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মামুন ড্রাগস ও অপরাজিতা ড্রাগসের প্রতিনিধিরা আহŸানকৃত টেন্ডারের মধ্যে ৬ কোটি টাকার ওষুধ, গজ-ব্যান্ডেজ-তুলা, কেমিক্যাল, আসবাব ও ক্রোকারিজের টাকার দরপত্র জমা দিতে যান। দরপত্রটি হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়কের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্সে ড্রপ করার আগমুর্হূতে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী তাদের সিডিউল পেপার ছিনতাই করে নেয়। পরবর্তীতে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ঠিকাদার আজিজুল হক।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছি। আগামি ১৫ সেপ্টেম্বর টেন্ডারের মূল্যায়ন হবে। টেন্ডার স্থগিত ও পুনরায় দরপত্র সিডিউল সরবরাহ করার কোন সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল হুসাইন বলেন, হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়কের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ছিল। সেখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিচতলায় গোলযোগের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন