শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মোরেলগঞ্জের পানিবন্দি মানুষ, ভেসে গেছে ৫ শতাধিক মৎস ঘের

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৪৮ এএম

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা তিনদিনের প্রবল বর্ষণ আর নদীর জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলারন তিনটি গ্রাম সহ ২৫ গ্রাম প্লাবিত এবং দুই সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া উপজেলার মোরেলগঞ্জ পাঁচ শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।এদিকে বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীতে জোয়ারের পানির চাপ অব্যাহত থাকলে আরো বেশি পরিমাণে মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে মৎস্য বিভাগ। তবে এই বৃষ্টিতে চলতি রোপা আমন ধানের উপকার হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।তৃতীয় দিনের মতো উচ্চ জোয়ারের পানিতে উপজেলার বিস্তৃীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাজুড়ে রবিবার থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমে সেখানে বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শীতকালিন সবজিক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। দ্রুত এই পানি নেমে না গেলে চাষিদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বৃষ্টিতে রোপা আমন ধানের দারুণ উপকার হবে বলে কৃষি বিভাগ আরও জানায়।বাগেরহাট ৪(মোরেলগঞ্জ–শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন বলেন, ‘মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ, বহরবুনিয়া, ঝিউধারা ও চিংড়াখালীসহ মোরেলগঞ্জ সদর ও শরনখোলা উপজেলার দুই হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এছাড়া জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়তে বলেছি। প্রয়োজনে তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘মোরেলগঞ্জের পৌরসভা অংশে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে। ওই অংশে নদীতীর প্রতিরক্ষার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নদীতীর সংরক্ষণের কাজ চলতি অর্থ বছরে শুরু করা হবে।পানিতে তলিয়ে রয়েছে বাগেরহাটের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ, তিনি আরও বলেন, ‘জোয়ারের পানি রোধ করতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার জন্য ৯৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এরজন্য চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। তার সমীক্ষা খুব শীঘ্রই শুরু হবে। ওই বাঁধ নির্মিত হলে রামপাল ও মোংলা উপজেলারও জোয়ারের পানি প্রতিরোধ হবে ।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ার ও বৃষ্টিতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কয়েকশ পরিবার সাময়িকভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা তৈরির পর সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন