শিক্ষক ও ইন্সট্রাক্টর ঘাটতি দূর করতে ৩-৪ বছর আগে পিটিআই ও পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে ডেপুটেশনে এখানে কর্মরত আছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক। এখানে যারা ডেপুটেশনে কর্মরত আছেন তাদের অধিকাংশই প্রভাবশালীদের আত্মীয়। আবার কেউ পিটিআই সুপারের স্ত্রী বা মেয়ে। নিয়োগ সম্পূর্ণ হলে তাঁরা এখানে থাকার অধিকার রাখেন না। কারণ, তাঁরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকিয়ে রেখেছেন। নিয়োগ আটকিয়ে তাঁরা ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছেন। তাই আমরা চাই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করে শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাক। আবার পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) পদের ভাইবা আটকে আছে মামলা জটিলতার কারণে। পিএসসি যেখানে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত সুপারিশ করতে চায়, সেখানে ২০১৮ সালে থেকে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হচ্ছে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, তাঁরা অভ্যন্তরীণ প্রার্থী হিসেব ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত পরীক্ষা দেবেন এবং পদোন্নতি পেয়ে ইন্সট্রাক্টর হবেন। সরাসরি নিয়োগের বিরুদ্ধে তাঁরা, এজন্য মামলা করেছেন। পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) যেখানে ৯ম গ্রেড সেখানে ১৩তম গ্রেডের প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কীভাবে পদোন্নতি বা অভ্যন্তরীণ প্রার্থী হওয়ার দাবি করতে পারেন, সেটিও একটি প্রশ্ন? প্রাথিমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এখন সবার দাবি, জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক।
শাহিন কাদির
সহকারী শিক্ষক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বগুড়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন