খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্রীদের প্রকাশ্যে ধূমপানের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্ররা। ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ব্যবসায়ীরারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৯ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে। আগামী রোববার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকায় গত বুধবার রাতে খুবির ছাত্ররা সাধারণ ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে জিরো পয়েন্টের আল্লাহর দান হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র ও ছাত্রী প্রকাশ্যে ধূমপান করছিল। ওই সময়ে মেয়েদের সিগারেট খেতে দেখে কৌতুহলবশত আশেপাশের কয়েকজন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ছাত্র ছাত্রীরা ভিডিও ধারণের বিষয়টি টের পেলে তাদের ধাওয়া করে। তবে, তাদের ধরতে না পেরে সন্দেহবশত আল্লাহর দান হোটেলের মালিকের ছেলে মো. জামিলকে বলে তার হোটেলের স্টাফরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এরই মধ্যে তারা মোবাইলে কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীকে জড়ো করে। এক পর্যায়ে তারা হোটেলটি ভাঙচুর করে এবং জামিলকে মারধর করেন। এরপর খুলনা জিরোপয়েন্ট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে জামিলকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাস্তা অবরোধ করে হামলার ঘটনার নিন্দা ও মানববন্ধন করেন খুলনা জিরোপয়েন্ট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি খুবি শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেল মেরামতকে কেন্দ্র করে জিরো পয়েন্টের নিউ মোটরস প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। গত আগস্ট মাসে দোকানের ধুলা বাইরে আসার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে মৃধা স্যানিটারিতে হামলা ও ভাঙচুর করে ছাত্ররা এবং সর্বশেষ গত বুধবার রাতে আল্লাহর দান হোটেলে খুবি শিক্ষার্থীরা হামলা ও ভাঙচুর করে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এই বিষয়গুলো লিখিত আকারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। সেখানে খুবি শিক্ষার্থীদের দ্বারা বারবার জিরো পয়েন্টের ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার বিচার চেয়েছি। তারা এই বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, ব্যবসায়ীরা ভিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। তারা কিছু ভিডিও ফুটেজও দিয়েছে। শোকজের চিঠি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান, লালবাবু মণ্ডল, সাজ্জাদ হোসেন, সাদমান শাহরিয়ার, মেহেদী হাসান, জিহাদ হোসেন, স্বরূপ রাহা, আরশি এবং ইউআরপি ডিসিপ্লিনের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নীহারিকা। আগামী রোববার এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন