জন্মের পর নবজাতক সন্তানকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় এক মা। গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ওই নবজাতক ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকদের বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই নবজাতকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে। তিনি এসিল্যান্ড হিসেবে সিলেট বিভাগে কর্মরত আছেন। ১০ বছর বিবাহিত জীবনে ওই দম্পতির কোনো সন্তান হয়নি। চিকিৎসকরা ওই দম্পতিকে জানিয়েছেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাদের আর কোনো দিন সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, নবজাতক ওই শিশুটির দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ১৪ জন দম্পতি আগ্রহ প্রকাশ করে আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ছিলেন। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়। সভায় ১৮ জন সদস্যের প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন। আবেদনগুলোর যাচাই-বাছাই শেষে আবেদনকারী দম্পতিদের মধ্যে একজন দম্পতির হাতে শিশুটির দায়িত্বভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দু’একদিনের মধ্যে শিশুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দম্পতির হাতে হস্তান্তর করা হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, কুষ্টিয়ার সমাজসেবা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, শিশুটি বর্তমানে শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর ভোরের দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য এক নারী আসেন সেখানে ওই নারী নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্য দেন। কিছুক্ষণ পর ওই নারীকে ওয়ার্ডে পাঠানো হলে একপর্যায়ে তিনি সদ্য নবজাতক সন্তানকে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। সেই থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শিশুটিকে নবজাতকদের বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন