ইরানের কঠোর হিজাব বিধি প্রয়োগকারী নৈতিক পুলিশ একজন ইরানি তরুণীকে আটক করার পরে অচেতন অবস্থায় ওই তরুণীর মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইরানিরা বিক্ষোভ জানাচ্ছেন।
গত কয়েক মাসে ইরানি কর্মীরা প্রকাশ্যে নারীদেরকে তাদের নেকাব অপসারণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। নেকাব একটি ইসলামিক পোশাক যা নারীরা পরিধান না করলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হতে পারে। কারণ দেশটির শাসকরা এটিকে ‘অনৈতিক আচরণ’- হিসেবে অভিহিত করে একে কঠোরভাবে দমন করে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির দাবির পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তেহরানের প্রসিকিউটর মাহসা আমিনির মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানায়।
পুলিশ বলেছে, ২২ বছর বয়সী ওই নারী নৈতিক পুলিশ স্টেশনে আটককৃত অন্য নারীদের সাথে অপেক্ষা করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
রাষ্ট্রীয় টিভির ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ফুটেজে দেখা যাচ্ছে আমিনি নামে শনাক্তকৃত একজন নারী পুলিশ স্টেশনে একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার জন্য তার আসন থেকে ওঠার পরে পড়ে যান। রয়টার্স ভিডিওটির সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি।
১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর আরোপিত ইরানের শরিয়া (ইসলামি) আইনের অধীনে নারীরা তাদের চুল ঢেকে রাখতে এবং তাদের চেহারা ও শরীর ঢেকে রাখতে লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে বাধ্য। এই আইন লঙ্ঘনকারীরা জনসাধারণের তিরস্কার, জরিমানা বা গ্রেফতারের সম্মুখীন হয়।
বিপ্লবের কয়েক দশক পরেও ধর্মীয় শাসকরা এখনো তাদের আইন প্রয়োগের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনো সকল বয়সের এবং শ্রেণির নারীরা আঁটসাঁট ফিটিং, আজানুলম্বিত কোট, উজ্জ্বল রঙের স্কার্ফ পরে চুল খোলা রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন