গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ভাট্টইধোবা গ্রামে অন্তসত্বা গৃহবধু মনিকা বেগম (২৭) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করছে কাশিয়ানি থানা পুলিশ। নিহত মনিকা বেগমের বাবার বাড়ি পাশ^বর্তী নড়াইলের লোহাগাড়া উপজেলার পাংখারচর গ্রামে।
১৭ই স্বেপ্টেবর শনিবার রাতে গৃহবধু মনিকা বেগমকে হত্যা করে নিহতের ম্বামী হাসিব মুন্সি ও তার পরিবারের লোকজন। সে তিন মাসের অন্তসত্বা ছিল বলে জানায় নিহত মনিকা বেগমের পরিবার।
মনিকা বেগমের ভাই মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, আমার ভগ্নিপতি বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনসহ আমাদের পরিবারকে চাপের কাছে চেয়েছিল। আমরা দরীদ্র পরিবার বলে তাকে টাকা দিতে পারিনি। এজন্য প্রায়ই আমার বোনকে টাকার জন্য মারপিট করতো আমার ভগ্নিপতি হাসিব মুন্সি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এ ঘটনা নিয়ে কাশিয়ানি থানায় সাধারন ডায়েরীসহ একাধিকবার সালিশ বৈঠকও করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমার বোন আমাকে ফোন করে বলে ভাই, আমাকে আমার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন অনেক মার পিঠ করেছে। আমার অবস্থা খুবই খারাপ। তোমরা আমাকে শেষ বারের মতো দেখে যাও ভাই। আমি মনে হয় আর বাঁচবো না। এ সংবাদ পেয়ে আমরা প্রথমে কাশিয়ানি থানায় এসে বিস্তারিত জানাই। পরে পুলিশ সাথে করে নিয়ে ভাট্টইধোবা গ্রামে বোনের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বোন মৃত অবস্থায় ঘরের ফ্লোরে পড়ে আছে। পুলিশ আমার বোনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। গৃহবধু মনিকা হক্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।
এব্যপারে কাশিয়ানি থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইরানুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। সুরতহাল রিপোর্টের সময় নিহত মনিকা বেগমের গলায় একটি দাগ পাওয়া গেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যখন ওই বাড়িতে যাই তখন নিহত মনিকার স্বামী ও তার শ^শুর বাড়ির লোকজন পলাতক ছিল। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রেকর্ড হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন