সাতক্ষীরার আশাশুনিতে স্ত্রী শামসুন্নাহারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী গোলাম মোস্তফা। ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও স্বামী গোলাম মোস্তফাকে জেলার শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী থেকে আটক করেছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
গোলাম মোস্তফার ভাই নুরুল ইসলাম জানান, গোলাম মোস্তফা মানসিকভাবে কিছুটা অপ্রকৃতস্থ ছিল। এজন্য প্রত্যেক মাসে তাকে একবার ইনজেকশন দেওয়া লাগে। না দিলে পাগলামি বেড়ে যায়। সম্প্রতি তার পাগলামি বেড়ে গিয়েছিল। রোববার রাতে তারা স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ভোররাতে শামসুন্নাহারের গোঙানির শব্দ শুনে আমরা তাদের ঘরের পাশে যেয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পাই। ধাক্কা-ধাক্কির একপর্যায়ে গোলাম মোস্তফা দরজার ছিটকানি খুলে পালিয়ে যায়। ভেতরে যেয়ে শামসুন্নাহারকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ভ্যান ডাকি। ততক্ষণে শামসুন্নাহার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। শামসুন্নাহার (৪৫) তিন সন্তানের জননী।
তিনি আরও জানান, তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ আলী বলেন, সোমবার ভোর ৫টায় ফজরের আযানের পর শামসুন্নাহার ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে অজু করে নামাজ পড়ার জন্য ঘরে আসে। এ সময় গোলাম মোস্তফা তার স্ত্রীকে বকাঝকা শুরু করে। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বেলা ১১টার দিকে পলাতক গোলাম মোস্তফাকে শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী থেকে আটক করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ওসি মোমিনুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক গোলাম মোস্তফা পাতাখালীতে আটক হয়েছে। তাকে আনতে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন