সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নওগাঁয় অভিনব কায়দায় ধানের টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতারক

ধান না পেয়ে পথে বসেছে ব্যবসায়ী

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৩৭ পিএম

নওগাঁয় ধান দেওয়ার নাম করে এক আড়ৎকে পুজি করে অগ্রিম টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে রানা নামের এক প্রতারক। অপরদিকে ধান না পেয়ে লক্ষাধিক টাকা হারিয়ে পথে বসতে চলেছে রাজশাহীর পবা উপজেলার পূর্ব বাঘাটা গ্রামের মৃত-মুনসুর আলীর ছেলে জাফর আলী। ধান দেওয়ার নামে অভিনব কায়দায় ওই ধান ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলে ১লক্ষ ৬৮হাজার টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন রানা নামের ওই প্রতারক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ব্যবসায়ী জাফর আলী রবিবার বিকেলে জেলার মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী জাফর আলী বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা হতে ধান কিনে চাল তৈরির ব্যবসা করে আসছেন। গত ১৬ সেপ্টম্বর তিনি রাজশাহীর মোহনপুর থানার কেশরহাটে ধান ক্রয় করে ট্রাক লোড করছিলেন। এমন সময় রানা নামের এক অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে বলেন যে, সে একজন ধান ব্যবসায়ী। তার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায়। সে ১৪৩০টাকা দরে আটাশ জাতের ২শত মন ধান বিক্রি করবেন। রানার প্রস্তাবে রাজি হলে পরের দিন ১৭সেপ্টেম্বর নগদ টাকা ও গাড়ি নিয়ে নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে আসতে বলেন। পরের দিন প্রসাদপুর বাজারে এসে রানাকে ফোন দিলে রানা আমাকে সেখানকার মেসার্স ভাই ভাই শষ্য ভান্ডার নামে এক ধানের আড়তে নিয়ে গিয়ে আড়তের মালিক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে ধানের নমুনা দেখান। এরপর ১৪৩০টাকা দরে ১৪০মণ ধান ক্রয় করি। এমন সময় রানা জরুরী কাজের অজুহাতে আমার কাছ থেকে ধানের মূল্য বাবদ ১লক্ষ ৬৮হাজার টাকা নেন এবং অবশিষ্ট ৩২হাজার ২শত টাকা নওহাটা মোড় নামক স্থান থেকে নিবেন বলে দ্রæত চলে যান। এরপর গাড়িতে ধান লোড করে গাড়ি ছাড়ার পূর্ব সময়ে আড়তের মালিক জহুরুল ধানের টাকা দাবী করেন। টাকা তার পার্টনার রানাকে দেওয়ার কথা বললে তিনি রানা নামের কাউকে চেনেন না বলে গাড়ি থেতে সব ধান নেমে নেন। এরপর ওই এলাকায় রানা নামের ওই প্রতারককে অনেক খোজাখুজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। রানাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন প্রতারক আমাকে ধান দেওয়ার নামে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নগদ ১লক্ষ ৬৮হাজার টাকা নিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। আর যেন কোন মানুষকে এদের প্রতারনার ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত না হতে হয় সেই জন্য এই প্রতারক চক্রের সকল সদস্যদের আটক করে দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি প্রদান করতে এবং আমার টাকা উদ্ধার করে দিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এই বিষয়ে প্রতারক রানার মুঠোফোনে কল দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে একটি লিখিত অবিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রতারনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে সকল প্রচেস্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন