সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে। সর্বমোট ১০৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় ধরে এ বাজেট প্রণয়ন করেছে সিসিক। গতকাল দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে এ বাজেট ঘোষণা করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বাজেট ঘোষণার সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, নগরীর নাগরিকবৃন্দকে অধিকতর সুযোাগ সুবিধা ও সেবা প্রদান নিশ্চিতে এবার সর্বমোট ১০৪০ কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আয় ও সমপরিমাণ টাকা ব্যয় ধরে প্রণয়ন করা হয়েছে বাজেট।

বাজেটে আয়ের খাত গুলো হলো, হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৫ কোটি ২ লাখ ২৮ হাজার, স্থাবর সম্পত্তি হস্থান্তরের উপর কর ১৬ কোটি, পেশা ব্যবসার উপর কর ৮ কোটি ৫০ পঞ্চাশ লাখ, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃ নির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২০ লাখ, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১ কোটি ৭০ লাখ, ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৮ লাখ ৫০ হাজার, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৮০ লাখ, সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ৪ কোটি ৫০ হাজার, ঠিকাদারী তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফি বাবদ ৩০ লাখ, ল্যাব টেস্ট ফিস বাবদ ৬০ লাখ, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৫০ লাখ, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৩০ লাখ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লাখ, দক্ষিণ সুরমা শেখ হাসিনা শিশু পার্কের টিকিট বিক্রয় থেকে আয় ৮০ লাখ, পানির লাইনের সংযোগ ও পুনঃসংযোগ ফিস বাবদ ১ কোটি, নলকুপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ২ কোটি, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ব্যয় খাত গুলো হলো নির্মাণ ও সংস্কার, ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব লিয়াজো অফিসের জন্য ফ্ল্যাট ক্রয়, কসাই খানা নির্মাণ-ময়লা আবর্জনা ফেলার জায়গা উন্নয়ন, সিটি কর্পোরেশনের যানবাহন রক্ষায় গ্যারেজ নির্মাণ, নাগরিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গভীর নলকুপ স্থাপন, এমজিএসপি প্রল্পের রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নিজস্ব অর্থ ব্যয়, যানবাহন রক্ষণাবেক্ষনে ওয়ার্কসপ নির্মাণ, হাট বাজার উন্নয়ন, বাস টার্মিনাল সংস্কার ও উন্নয়ন, এলাকায় পাঠাগার নির্মাণ, জীপ গাড়ীও ২টি আধুনিক আ্যম্বুলেন্স ক্রয় এবং নারীদের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ ব্যয়সহ ইত্যাদি ব্যয় উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া সরকারি উন্নয়ন সহায়তা থেকে বরাদ্দ খাতে ব্যয় ৫ কোটি টাকা, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরী খাতে ব্যয় ৪৬ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৪৮০ কোটি, মহানগরীর নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২০ কোটিা, নগর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন ও রাইড স্থাপন খাতে ২ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প খাতে ৫ কোটি, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি ,সিটি কর্পোরেশন এসফল্ট প্ল্যান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ খাতে ২০ কোটি, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি, সিটি কর্পোরেশনের প্লাষ্টিক রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি, কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, তোপখানাস্থ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ভূমিতে আধুনিক কমিউিনিটি সেন্টার ও স্টাফ কোয়াটার নির্মাণ প্রকল্প খাতে ৫ কোটি, উৎপাদন নলকুপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মীরের ময়দান এলাকায় ষ্টাফ কোয়াটার নির্মাণ খাতে ১ কোটি, সিলেট মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি গরুর হাট নির্মাণ খাতে ৪ কোটি, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি , সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন খাতে ৫ কোটি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরগণের স্থায়ী অফিস নির্মাণ খাতে ১০ কোটি, ১৩.১৩ একর জমি অধিগ্রহণ ৫ কোটি টাকা, আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প খাতে ৫০ লাখ, নগরীর বস্তি সমুহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত সালামী ও সিটি কর্পোরেশন আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় গ্রহণ বাবদ মোট ৩৭ কোটি, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাজার, কবরস্থান, শশ্মানঘাট, ঈদগাহ উন্নয়নে ১০ কোটি, ইউনিসেফের অর্থায়নে সুবিধা বঞ্চিত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা এবং টিকাদান কর্মসূচি খাতে ২ কোটি, সিলেট মহানগরীতে সুয়ারেজ মাস্টার প্লান এর ফিজিবিলিটি স্টাডি করন প্রকল্প ৫ কোটি টাকা, ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য রাখা হয়েছে ব্যয় বরাদ্দ।