সাইপ্রাস, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মানবপাচার চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক টিম। গতকাল দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র্যাব-১১ সিপিসি-২ কার্যালয়ে র্যাবের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মানবপাচার চক্রের মুলহোতা সোহেল মজুমদার। তার আরও দুটি নাম রয়েছে। এরমধ্যে একটি হাবিবুর রহমান অন্যটি আদনান। সে সাইপ্রাসের তালিকাভুক্ত অপরাধী।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মোহাম্মদ মিলন মিয়া নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোহেল মুজমদারসহ তার দুই সহযোগীকে গত রোববার কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, মানব পাচার চক্রের মূলহোতা সোহেলকে প্রাথমিক জীজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে সাইপ্রাাস নেয়ার কথা সাইপ্রাসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া সার্টিফিকেট, নথিপত্র তৈরি করে ভুক্তভোগীদের প্রথমে দুবাই নেওয় হয়। সেখান থেকে এক দু’মাস পর তাদেরকে সাইপ্রাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ভাবে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে সাইপ্রাসে নিয়ে গেছে। সবার থেকে গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা করে নিয়েছে সোহেল। পরে মানসম্মত কাজ না পেয়ে ভুক্তভোগীরা সোহেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এছাড়াও মানবপাচারকারী সোহেল সাইপ্রাস থেকে কয়েকজন প্রবাসীকে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করে পরিচিত লাভ করে। এসব করে সোহেল লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ২০১৯ সালে সাইপ্রাস সরকার প্রতারক সোহেলকে তালিকাভুক্ত অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে ভুয়া নথিপত্র, প্রতারণা ও মানি লন্ডারিং আইনে ৮টি অভিযোগ ইস্যু করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন