কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার শিশু ধর্ষন মামলায় জনি নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম জনাকীর্ন আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত জনি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার হাফিজুল প্রামানিকের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিকেলে সাড়ে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের মাঠে গোলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীতে পড়ুয়া তিন শিশু ঘাস কাটছিলো। এসময় আসামী জনি একটি শিশু কন্যাকে ঘাস কেটে দেবে বলে ফুসলিয়ে তামাক ক্ষেতের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক শিশুটিকে ধর্ষন করে। এসময় আক্রান্ত শিশুটি চিৎকার করে উঠলে অপর দুই শিশু এবং মাঠে কর্মরত অন্যান্য চাষীরা ছুটে আসলে আহত শিশুটিকে তামার ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে ধর্ষক জনি পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ১২ মার্চ, ২০১৮ তারিখে আক্রান্ত শিশুটির পিতা বাদী হয়ে একমাত্র আসামী জনির নাম উল্লেখসহ দৌলতপুর থানায় ধর্ষন মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ দৌলতপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম শিশু ধর্ষনে জড়িত একমাত্র আসামী জনির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন আদালতে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাড. আব্দুল হালিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দৌলতপুর থানার শিশু ধর্ষন মামলার আসামী জনির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকার জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাভোগের আদেশ দেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন