পূর্ব সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আলামীন (৪৫) ও হোসেন মোল্লা (৩০) নামের দুই বনদস্যু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (৭ ডিম্বের) সকাল ১০টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের দুধমুখী এলাকার বাদামতলী খালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত দস্যুরা সুন্দরবনের বর্তমান সয়ের ত্রাস বনদস্যু শামছু বাহিনীর সদস্য বলে র্যাব-৮ সূত্র জানিয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দস্যুদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২২৭ রাউন্ড তাজু গুলি ও দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
বরিশাল র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান বকির জানান, এক সপ্তাহ আগে সুন্দরবনের দস্যু দমনে তাদের বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাদের আভিযানিক দল বাদামতলী খালে পৌঁছলে বনের অভ্যন্তর থেকে দস্যুরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এসময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী গুলি বিনিময় চলতে থাকে। একপর্যায়ে র্যাবের কৌশল ও গুলির মুখে পরাস্ত হয়ে বনদস্যু শামছু বাহিনীর সদস্যরা রণে ভঙ্গ দিয়ে গহীন বনে পালিয়ে যায়।
বন্দুকযুদ্ধ শেষে র্যাব ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে দুই দস্যুর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় সন্নিহিত এলাকায় মৎস্য আহরণরত জেলেরা নিহত দুই দস্যু কুখ্যাত শামছু বাহিনীর সদস্য বলে সনাক্ত করেন।
পরে দস্যুদের আস্তানা থেকে ১১টি অস্ত্র, বিভিন্ন ধরণের ২২৭ রাউন্ড তাজা গুলি ও নিত্য ব্যবহার্য মালামাল জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, নিহত দস্যু, অস্ত্র, গুলি ও মালামাল শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করা হবে এবং সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল বলেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা র্যাবের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তারা ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন