কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সাহেবেরচর এলাকায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা বাইচ দেখতে এসে নৌকা ডুবিতে শিশুসহ ৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে সাতটা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশী চালিয়েও এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত কোন সন্ধান মেলেনি। তারা হলেন, হোসেনপুর উপজেলার তারাপাশা গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে শামীম, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরশাখচুড়া গ্রামের ছমেদ আলীর শিশু পুত্র সিফাত একই গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে নিখোঁজ সিফাতের ভাতিজা ইয়াছিন।

পুলিশ ও নিখোঁজদের স্বজনারা জানান, নিখোঁজ শামীম এ মাসের ২৫ তারিখে ওমান যাওয়ার কথা ছিলো। তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান গত সোমবার তার ভাই ফেসবুক লাইভে নৌকা বাইচের ভিডিও ধারণ করছিল এ সময়ই বলতে ছিলো তাদের নৌকাটি তলিয়ে যাচ্ছিল। জেলা নৌ পুলিশের এসআই হরিদাশ বাবু জানান, নিখোঁজ হওয়া ইয়াছিনের পিতাও তলিয়ে যাওয়া নৌকায় ছিল। তিনি তার ভাগিনাকে নিয়ে সাঁতরিয়ে উঠতে পারলেও তার সন্তানকে বাঁচাতে পারেনি।

গত সোমবার উপজেলার সিদলা ইউনিয়ন আ.লীগের উদ্যোগে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ভাড়ায় চালিত নৌকা নিয়ে নদীতে আনন্দ উৎসব করতে থাকে আগত যাত্রীরা। উৎসুক জনতা ও উঠতি বয়সের ছেলেরা নৌকা বাইচের ছবি মোবাইলে ধারণ করতে থাকে। এসময় বাইচ প্রতিযোগিতার একটি নৌকা ভাড়া করা নৌকাকে ধাক্কা দিলে হঠাৎ নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের নৌকা এসে অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করলে অনেকে সাতঁরে নদীর পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও শিশুসহ ৩ জন যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে স্বজনেরা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কান্নায় ভেঙে পড়নে।

হোসেনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান টিটু বিষয়টি জানান। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আবুজর গিফারী বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ও চার সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান করেন।