শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সাফ শিরোপাজয়ী ৬ জনই ময়মনসিংহের

মো. শামসুল আলম খান, ময়মনসিংহ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সেরা খ্যাতি অর্জন করেছে। এর ফলে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় আনন্দের বন্যা বইছে।

কারণ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলায় আট ফুটবল কন্যার বাড়ি ধোবাউড়া উপজেলায়। তবে ফাইনাল খেলায় এগারো জনের মধ্যে ছয় জনই ছিল ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। তারা হলেন, মার্জিয়া, সাজিদা খাতুন, শিউলি আজিম, মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। ফলে কলসিন্দুর গ্রাম থেকে উঠে আসা একদল কিশোরীর চোখ ধাঁ-ধাঁনো পায়ের জাদুতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করায় উচ্ছ¡াসিত এলাকার প্রবীণ-নবীণ ও তরুণ-যুবরাও।

স্থানীয়রা জানায়, লাল-সবুজের পতাকা বিশ^ দরবারে তুলে ধরে কলসিন্দুর গ্রামকে দেশজুড়ে পরিচিতি দিয়েছে এই কন্যারা। আমরা তাদের জন্য গর্বিত। মেয়েদের জয়ে উচ্ছ¡সিত হয়ে ফুটবল তারকা সানজিদার বাবা লিয়াকত আলী বলেন, বাংলাদেশ জয়লাভ করায় সানজিদার বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। এই আনন্দের কোন শেষ নেই।
এই ফুটবল কন্যাদের স্থানীয় কোচ জুয়েল মিয়া বলেন, কলসিন্দুরের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে ক্ষুদে ফুটবলারদের নিয়মিত অনুশীলন চলছে। আমরা চাই এভাবেই এগিয়ে যাক আমাদের মেয়েরা। মেয়েদের এমন জয়ে উচ্ছ¡াসিত ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও কলসিন্দুর নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার মালা রানী সরকারও। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দক্ষিণ এশিয়ায় ফুটবলে সেরা হয়েছেন বাংলাদেশ মেয়েরা। এই মেয়েরাই একদিন ফুটবল বিশ্বকাপ জিতবে বলেও আশা করছি। ফুটবলার মার্জিয়ার বাবা আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার মেয়ে শুরুতে এলাকায় যখন ফুটবল খেলত, তখন অনেকে বিষয়টিকে বাঁকা চোখে দেখত। তারা বলত-মেয়েদের ফুটবল খেলতে নেই। কিন্তু এখন মেয়ের সাফল্যে এলাকার ওই লোকজনই সম্মান দিয়ে কথা বলেছে। আমি মার্জিয়াসহ সব নারী ফুটবলারের জন্য দোয়া চাই।

একই গ্রামের ফুটবল তারকা শামসুন্নাহার জুনিয়রের বাবা নেকবর আলী বলেন, খেলার দিন সকাল থেকেই আমরা পরিবারের সদস্যসহ কলসিন্দুরের ফুটবল ভক্তরা মেয়ের ভালো খেলার আশায় দোয়া করেছি। আল্লাহ দোয়া কবুল করেছেন। এখন তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরছে। এই জয়ে গ্রামের সবাই আনন্দিত।

প্রসঙ্গত, এগারো বছর আগে অপ্রতিরোধ্য এই ফুটবল কন্যাদের শুরুটা ২০১১ সালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। তখন জেলার সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে উঠে আসে একদল কিশোরী ফুটবলারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল একটি নারী ফুটবল টিম। আজ ওই মেয়েদের সাফল্যে আনন্দিত বাংলাদেশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন