মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি এতে গুলিবিদ্ধ হয়।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে এ সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় আটটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থান বিরাজ করছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদর উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম পৌর বিএনপি শহরের মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুর আড়াইটা থেকে মুক্তারপুর এলাকার আশপাশে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। পুলিশও অবস্থান নেয় আগে থেকেই। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল বের করে পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় আসতে শুরু করে।
এ সময় পুলিশ মিছিলে বাঁধা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বিএনপি নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে চারদিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশও ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তির মুখে গুলি লাগে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ (ডিবি) ওসি আবুল কালাম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসি সহ প্রায় পুলিশের ১০ সদস্য গুরুতর আহত হয়। তাদের সকলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় শতাধিক পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
সদর থানা বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে জাহাঙ্গীর নামের এক কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
তিনি আরও জানান, জাহাঙ্গীরের অবস্থা খুবই গুরুতর। তাকে ঢাকার চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন