রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নোয়াখালীর কবিরহাটে ইউএনও কার্যালয়ে যুবককে মারধর, আনসার প্রত্যাহার

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:২৯ পিএম

জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে আনসার সদস্যদের হাতে দুইবার হামলার শিকার আহসান হাবিব (২২) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। ঘটনায় অভিযুক্ত আনসার সদস্য রনিকে ইউএনওর কার্যালয়ের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত আহসান হাবিবকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আহসান হাবিব কবিরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের এনায়েত উল্যার ছেলে।

আহত আহসান অভিযোগ করে বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিজের ছোট ভাইয়ের জন্ম নিবন্ধন কার্ডে নাম সংশোধনের জন্য তার বন্ধু মনিরকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায় আহসান। নিবন্ধন সংশোধনে অনেক লোক থাকায় সবাই সিরিয়ালে দাঁড়ায়। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় তার আরেকজন বন্ধু মনিরের মোবাইলে ভিডিও কল দিলে তারা কথা বলতে শুরু করে। মোবাইলটি সামনের দিকে ধরা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওইস্থানে দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার ইউনুস তাতে হস্তক্ষেপ করে, লাইনের সবাইকে ভিডিও করছে এমন অভিযোগ করে মোবাইলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে আনসার সদস্য ইউনুস ও রনির সাথে আহসান এবং মনিরের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রনি তার হাতে থাক লাঠি দিয়ে সজোরে আহসানের চোখে আঘাত করে জখম করে।

আহসান আরও অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে তাকে অবগত করার পর আমরা ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে আসার পথে আনসার রনি পুনঃরায় তাদের মারধর করে, বিষয়টি বুঝতে পেরে ইউএনও রনিকে বকাঝকা করে আমাদের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা বলেন, আমার কার্যালয়ে কাউকে মারধর করা হয়নি। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রতি সোম ও বুধবার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৫শতাধিক মানুষ উপজেলা কার্যালয়ে আসে। দুপুরে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে আহসানসহ কয়েকজন নিজেদের মধ্যে ধাক্কা ধাক্কিতে লিপ্ত হয়। এসময় দায়িত্বরত আনসার রনি তাদের শান্ত করতে হাতের লাঠি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে আমার গাড়ি করে আহত যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। এছাড়া তাৎক্ষনাত অভিযুক্ত আনসার সদস্য রনিকে আমার কার্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে জেলায় পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন