চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালিন পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। গত মঙ্গলবার সকালে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে ঘটনাটি দ্রুত নিস্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
গত মঙ্গলবার ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসিমুল বারী। এদিকে বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলাউদ্দীন আল আজাদ। তিনি ভাঙা মোবাইল ফোনগুলো দেখেন ও ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে ঘটনাটি দ্রুত নিস্পত্তি করার নির্দেশ দেন। কেন্দ্র সচিব জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ভাংগার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকরা। তারা গত মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশ^াসে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষকরা। এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক মোবাইল ফোন ভাঙার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । কেউ বলছেন, শিক্ষা কর্মকর্তা ঠিক কাজ করেছেন। আবার কেউবা বলছেন- ঠিক করেননি। তবে শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগিরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ বলেন, পরীক্ষার্থীদের কাছে ফোন থাকলে- দিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ দেয়নি। পরে সার্চ করে একেক জনের কাছে একধিক ফোন সেট পাওয়া যায়। এতে মাথা গরম হয়ে যায় তার। এ জন্য ফোন গুলো ধ্বংস করা হয়।
জেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন আল আজাদ বলেন, ঘটনা শুনে তিনি কে›ন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। মোবাইল ফোন ভাঙার কাজটি ঠিক হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভুল করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে দুই কক্ষ পরিদর্শকসহ পরীক্ষার্থী কাছে থেকে ২০ থেকে ২৫টি মোবাইল ফোন সেট আটক করে কেন্দ্র সচিবের অফিস কক্ষে নিয়ে এসে ভেঙ্গে ফেলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন