মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদারের বিরুদ্ধে একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিচার দাবি করে প্রিন্সিপালের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন কলেজ শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদার কর্তৃক উক্ত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতেন। এ সরলতার সুযোগে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় প্রভাষকের বিচার দাবি করে, গত ১ আগস্ট তারিখে সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল জাকিয়া সুলতানার কাছে উক্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষার্থী। ঘটনার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো বিচার পাননি শিক্ষার্থী।
উল্টো কলেজছাত্রীকে ফাঁসানোর জন্য কলেজের কম্পিউটর অপারেটর মো. হাফিজুর রহমানের সাথে ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে অপপ্রচার করেন। এবং কলেজের কম্পিউটার অপারেটর মো. হাফিজুর রহমানকে প্রভাষকের বাসায় ডেকে নিয়ে চাকরি হারানোর হুমকি দেন। পরবর্তিতে প্রভাষক নিজেই হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।
এ বিষয়ে কম্পিউটার অপারেটর মো. হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থী আমার কাছে বিষয়টি বললে আমি তখন আমার কলেজ কর্তৃকপক্ষে অবহিত করার পর থেকে স্যার আমাকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে চাকরি হারানোর হুমকি দেয়। আর ঐ ছাত্রীকে নিয়ে আমার নামে মিথ্যে অপপ্রচার করছে। সে নিজেই আবার আমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুঠোফোনে বলেন, আমি স্যারকে খুব শ্রদ্ধা করতাম। স্যার আমাকে একা প্রাইভেট পড়াতো। ওই দিন আমাকে সে জরিয়ে ধরে এবং আমাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন।অনেক কষ্টে নিজেকে রক্ষা করি। পড়ে সে আমার পায়ে ধরে বলে এঘটনা তুমি কাউকে বইল না, আমিও কাউকে বলবো না। আমি তোমার কলেজের সকল বিষয় সাহায্য করব।
অভিযুক্ত প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদার বলেন, এ ঘটনা সত্য নয় আমি তাকে একা প্রাইভেট পড়াতাম। কিন্তু সে অধ্যক্ষের কাছে যে অভিযোগ দিয়েছে আমি তার উত্তর দিয়েছি। থানায় সাধারণ ডায়েরি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রভাষক বলেন, ওই মেয়ের সাথে হাফিজুর রহমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হাফিজ আমাকে হুমকি দিয়েছে। তাই আমি থানায় সাধারন ডায়েরি করেছি।
কলেজের প্রিন্সিপাল জাকিয়া সুলতানা বলেন, এঘটনায় ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি প্রভাষককে উক্ত ঘটনার কারন দর্শনোর নোটিশ দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় তদন্ত চলমান রয়েছে। ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, ডাসার সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদার নিরাপত্তা জন্য সাধারন ডায়েরি করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন