স্টাফ রিপোর্টার : মুরগি ও মাছের খাবার তৈরিতে ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন। ফলে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ ও ক্যান্সারের ঝুঁকিপূর্ণ মৎস্য ও পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধে আইনগত সব বাধা দূর হলো বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১০ সালের ২৪ জুলাই একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘বিষাক্ত মুরগির খাদ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি/মাছ উৎপাদনেও ব্যবহার হচ্ছে ট্যানারি বর্জ্য’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে এরপর হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একটি রিট করা হয়। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই ট্যানারি বর্জ্য দিয়ে মাছ ও পোল্ট্রি ফিড প্রস্তুুতকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
পরে ২০১১ সালের ২১ জুলাই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার করে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধে শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ সচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার লিভ টু আপিল করেন। ওই লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন