বাগেরহাটের মোংলায় জীবন্ত একটি সাপকে চিবিয়ে খেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছেন ৩০ বছরের যুবক মোস্তাফিজুর রহমান। গত বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সাপটি তাকে কামড়াতে এলে তিনি তা ধরে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। মোস্তাফিজুর রহমান মোংলা চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজি ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত মমিন মৌলভির ছেলে।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাপটা তার বাড়ির গাছে ছিল। হঠাৎ গত বুধবার দুপুরে তাকে কামড় দিতে চাইলে সেটি ধরে নিজেই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন। সাপটির স্বাদ তেতো। সাপ খাওয়ার পরে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, রাগের বশে তিনি কাজটি করেছেন।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন বলেন, এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। বিষাক্ত সাপ খেলে তার প্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা দেবে। কারণ বিষগ্রন্থি ছাড়াও সাপের পুরো শরীরটিকেই বিষাক্ত বলা চলে। এমনিতেও কোনো সাপ মানুষের খাদ্য নয়। তার কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার। একই সাথে তিনি বলেন, বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে কিন্তু এ ধরণের বাজ কখনোই কারো করা উচিৎ নয়।
এদিকে, এলাকাবাসীর দাবি, মোস্তাফিজুর রহমানের মাথায় কিছুটা সমস্যা আছে। সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ এমন কাজ করতে পারে না।
খুলনার সরকারি বিএল কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. আলিমুর রহমান চৌধুরি জানান, রঙ্গিলা গেছো সাপ, ডোরা গেছো সাপ বা ডোরা বেত আঁচড়া নামে এ সাপটি গ্রাম বাংলায় পরিচিত। গেছো সাপ দিবাচর ও বৃক্ষচারি। পূর্ণবয়স্ক সাপের দৈর্ঘ্য ১০০ থেকে ১৪৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। মূলত বন-জঙ্গলে বাস করে, তবে গাছপালাপূর্ণ এলাকা ও মানুষের আবাস এলাকার কাছেও দেখা যায়। নিচু ঝোপ-জঙ্গল-গাছ থেকে একাকী মাটিতে নামে। এরা দ্রুত নড়াচড়া ও চলাফেরা করতে সক্ষম। সহজেই গাছের এডাল থেকে ওডালে লাফিয়ে বেড়ায়। এরা বিষধর সাপ নয়। মূল খাদ্য ব্যাঙ, গিরগিটি, ছোট সাপ, মুরগির বাচ্চা ইত্যাদি। আক্রান্ত না হলে এরা মানুষকে আক্রমন করে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন