রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নিখোঁজের দুই বছর পর যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নিখোঁজের দুইবছর পর মাটি খুঁড়ে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই যুবকের মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখা ছিল বলে পুলিশ জানায়। হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন মোস্তফা চৌধুরী ছেলে মো. হোসাইন চৌধুরী, এনামুল ফকিরের ছেলে রুহুল আমিন ফকির, হেদায়েত চৌধুরীর ছেলে শহিমদুল চৌধুরী, ইউসুফ চৌধুরীর ছেলে মো. নাদিম চৌধুরী, এবং আবু মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল মোল্লা এদের প্রত্যেকের বাড়ি শাসন গ্রামে।

পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় মোবাইল ফোন করে রানা শরীফকে ডেকে নেয় তার বন্ধুরা। ফোন পেয়ে তাদের সাথে দেখা করতে যায় রানা। এর পর থেকে আর রানাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে রানার বাবা আহম্মেদ শরীফ ওই বছর ৪ অক্টোবর মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে মোল্লাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্দেহজন পাঁচজনকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার শাসন গ্রাম থেকে মাটি খুঁড়ে পুলিশ ওই যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে উদ্ধার করা ওই কঙ্কাল দুইবছর আগে নিখোঁজ রানা শরীফের। খবর পেয়ে এলাকার বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় জমায়। নিহত রানার একজোড়া স্যান্ডেল, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং মাটি খোড়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কোদাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তাদের সাথে রানা শরীফের এক সময় সখ্যতা ছিল এবং একই সাথে চলাফেরা করত। এরা সবাই মাদক সেবনকারি এবং কেউ কেউ মাদককারবারি। রানা শরীফ ইজিবাইকে যাত্রী পরিবহন করতেন। রানার স্ত্রী ও দুই বছর বসয়ী একটি মেয়ে রয়েছে।
রানার মা খুরশিদা বেগম বলেন, অপেক্ষায় ছিলাম ছেলে জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু পুলিশ মাটি খুঁড়ে ছেলের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে। ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোমেন দাশ বলেন, আর্থিক লেনদেন নিয়ে একই গ্রামের জুয়েলের সাথে রানার বিরোধ হয়। ওই বিরোধের জের ধরে তারা রানাকে ডেকে নিয়ে প্রথমে তাকে ইয়াবা সেবন করিয়ে নেশাগ্রস্ত করে। এর পর তারা পাঁচজনে মিলে হাত-পা চেপে ধরে এবং শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এর পর লাশ বস্তায় ভর্তি করে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন