নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের পিটুনিতে আহত ছাত্রলীগ কর্মী জামিউল ইসলাম জীবন (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট প্রধান ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। নিহত জামিউল আলীম জীবন নলডাঙ্গা উপজেলার রামশার কাজিপুর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে। উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জীবনের পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে উপজেলার রামশার কাজিপুর আমতলী বাজারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে জীবন ও তার বাবা ফরহাদ হোসেনকে ডেকে নেয় উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আসাদ ও তার সহযোগীরা বাবা-ছেলেকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ফরহাদ হোসেন (৫৩) ও জামিউল ইসলাম জীবন (২০) গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুর থেকে জীবনকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। অবশেষে জীবনের সাথে যুদ্ধ করে শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে আহত ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার বড় ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক, আলিম আল রাজি শাহ-এর সহ অজ্ঞাত আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি।
এদিকে ৪দিন পর জীবনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রিয়জনরা নিহত জীবনের বাড়ি রামশার কাজীপুর আমতলী যাচ্ছেন। জীবনকে শেষ বার দেখার জন্য। নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে শুক্রবার বিকেলে রামশা কাজীপুর আমতলী গ্রামে যান।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যানের পিটুনীতে আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে লাইফ সাপর্টে থাকা জীবনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন ধরনের বিশৃংখলা ঠেকাতে পুলিশ সর্তক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন