যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে রিকসা চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত রিকসা চালক আলমগীর হোসেন আলম কুষ্টিয়া সদরের শামসুল মন্ডলের ছেলে। তিনি ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে চুড়ামনকাটি হঠাৎ পাড়ায় বসবাস করেন। এই ঘটনায় পুলিশ চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের দুইপুত্রসহ ৪ জনকে আটক করেছে।
নিহতের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, দুপুর ১টার দিকে ছাতিয়ানতলা এলাকার সন্ত্রাসীরা আলম মন্ডলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর কাজীর বাগানে নিয়ে ১৫ থেকে ৬ জন সন্ত্রাসী তাকে বেদম প্রহার করে। গুপ্তি (ফাঁপা লাঠির মধ্যে লুকায়িত সরু তরবারি) দিয়ে তার পায়ের নলায় একাধিক আঘাত করে ছিদ্র করে দেয় এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে চূর্ণ হয়ে যায়। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার অনুসারীদের বিরোধের জেরে আলম মন্ডল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দাউদ হোসেনের লোকজন আলমকে পিটিয়ে হত্যা কারেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভাশিস রায় বলেন, মারপিটের আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন