আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত। তারা দেশে বিনিয়োগের পাশাপাশি আমিরাতেও গড়ে তুলেছেন হাইপার মার্কেট, সুপার মার্কেট, পারফিউমস ফ্যাক্টরি, রিয়েল এস্টেট, মুদি দোকান, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, রেডিমেড গার্মেন্টস ট্রেডিং, বোরকার দোকান, এমব্রয়ডারি, স্টিল ওয়ার্কশপ, গ্যারেজ, প্রিন্টিং প্রেস ও হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ ছোট-বড় নানা রকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এগুলো কর্মদক্ষতা ও সততায় বেশ সুনাম ও সাফল্যের সাথে তারা পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
একাধিক প্রবাসী ব্যবসায়ী ইনকিলাবকে জানান, তারা পর্যাপ্ত রেমিট্যান্স পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে বিনিয়োগ করে চলেছেন। কিন্তু ইতঃপূর্বে আমিরাতে দেশীয় শ্রমিক সঙ্কটে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনায় চরম হিমশিম খেতে হয়েছিল। তারা বলেন, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ আমিরাত সরকার দেশটিতে ভিজিট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদের নিয়োগ ভিসা লাগানোর সুযোগ দেয়ার পর আমিরাতে বাংলাদেশি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলোতে ভিজিট ভিসায় আসা লাখ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদেরও দেশীয় শ্রমিক সঙ্কট অনেকটা নিরসন হওয়ায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ জন্য আমিরাত সরকারকে মোবারকবাদ জানান তারা।
প্রসঙ্গতঃ দীর্ঘ বছর যাবত আমিরাতে বাংলাদেশিদের নতুন নিয়োগ ভিসা বন্ধ থাকায় দেশীয় শ্রমিক সংকটে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে চরম হিমশিম খাচ্ছিলেন। তখন পরিস্থিতির শিকারে বাধ্য হয়ে শ্রমিক সংকট নিরসনে তারা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, নাইজেরিয়া ও ইথিওপিয়াসহ বিভিন্ন দেশের লোক এনে তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
তাদের মতে, ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে এসে নিয়োগ ভিসা লাগানো পর্যন্ত অনেক খরচ পড়ে যায়। যা সহায়-সম্বল বিক্রি আর ধারদেনা করে আসা লোকজনের পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য।
অপরদিকে ভিজিট ভিসায় এসে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন এবং চাকরির অনিশ্চয়তায় অনাকাক্সিক্ষত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে কেউ কেউ চাকরির ব্যবস্থা করতে পারলেও অনেকই চাকরির ব্যবস্থা করতে না পেরে বা আদম দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়ে পরিস্থিতির শিকারে ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে না গিয়ে অবৈধ হয়ে থেকে যাচ্ছেন। যা এ দেশটির আইনে মারাত্মক অপরাধ।
তাই প্রবাসী ব্যবসায়ীদের দাবি আবারো কুটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে আগের মতো সরাসরি নিয়োগ ভিসা চালুর ব্যবস্থা করা গেলে একদিকে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশীয় শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে আরো সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। অন্যদিকে আমিরাতে কর্মসংস্থান হবে ব্যাপক বাংলাদেশির।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন