কুমিল্লায় ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণে সহায়তা করায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার এর হাতে আটক হন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার অনিক (৩৫)। র্যাব-১৫ এর সূত্র মতে জানা যায়, আবু কাউছার অনিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে আকলিমা আক্তার (ছদ্মনাম) কিশোরী বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩৭/৭৮৮, জিআর-৭৮৮/২০২২।
উক্ত মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহল পাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র আরব আলী (২৭), চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র জিলানী (৩৮), দেবিদ্বার উপজেলার নূরপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র আবু কাউছার অনিক (৩৫) ও একই গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া (৪০)।
জানা যায়, ১নং আসামী আরব আলী (২৭) ও ৩নং আসামী আবু কাউছার অনিক কয়েকদিন পূর্বে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার অধীনে আমতলী পুলিশ ফাড়িতে আটক করার তথ্য পাওয়া গেছে। ১নং আসামী আরব আলী আটক থাকলেও ৩নং আসামী আবু কাউছার অনিক অদৃশ্য ক্ষমতার খুটির জোরে ছাড়া পায়ে যায়। ওই ঘটনার পর থেকে আবু কাউছার অনিকসহ অপর আসামীরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে।
তবে র্যাব-১৫ এর হাত থেকে রক্ষা পাননি ধর্ষণে সহযোগিতাকারী ৩নং আসামী আবু কাউছার অনিক। সে নিজেকে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। শনিবার দুপুরে র্যাব-১৫ সিপিএসসি অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার কলাতলী এলাকার ভিআইপি আবাসিক হোটেল সোনার বাংলা থেকে মামলার ৩নং আসামী আবু কাউছার অনিককে আটক করে।
এ সময় অনিক তাহার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার (চট্টমেট্টো-গ-১১-৯৩১৪) উঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। শনিবার সকাল থেকেই র্যাবের চৌকস আভিযানিক দল ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ৩নং আসামী আবু কাউছার অনিককে আটকের জন্য তৎপর ছিলেন। পরবর্তীতে র্যাব-১৫ সিপিএসসি কক্সবাজার ক্যাম্পের গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে কলাতলী সোনার বাংলা আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক ল্যাফটেন্যান্ট কর্ণেল খাইরুল আলম রাত ৯টায় দৈনিক ইনকিলাবকে মুঠো ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিস্তারিত জানতে অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের কিছু কাজ আছে, কাজগুলো গুছিয়ে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন