ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা কঠোর আন্দোলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই আন্দোলন সরকাররের বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন নিজ দল বিএনপি কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে। যে সকল নেতা ফরিদপুরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়ে নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে। ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ফরিদপুরে জেলা বিএনপি কোনো উল্লেখযোগ্য আন্দোলন করতে পারে নাই। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে লিয়াজোঁ করে নিজ স্বার্থ হাসিল করছে। অন্যদিকে নিরীহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা হামলা-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। অনেক নেতকর্মীরা ফরিদপুর থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। এমন নেতারা আছেন যাদের বিরুদ্ধে ২০/২৫টি করে মামলা মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ফরিদপুর জেলা বিএনপি শীর্ষ স্থানীয় নেতারা এই মামলা হামলা নির্যাতনের শিকার হননি। তারা আরাম আয়েশেই আছেন। দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন ভাবে কোনো কমিটি গঠন করতে পারছে না। ফরিদপুরের বিএনপি ৩/৪টি গ্রæপে বিভক্ত। এ কারণে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না ফরিদপুর জেলা বিএনপি। এই সুযোগগুলি হাতিয়ে নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে ফরিদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি পদটি ধরে রেখেছেন জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া। সাম্প্রতিক জেলা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলেও বিভিন্ন জটিলতা অবৈধ লেনদেনের জন্য তিনবার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তাবয়ন করতে পারে নাই কেন্দ্রীয় কমিটি। ৯টি উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, ২ সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ফরিদপুর জেলা কমিটি গঠন না করলে তারা দলত্যাগের ঘোষণা দেবেন।
ফরিদপুরে ৯টি উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা চান, যোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি করা হোক। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকুর গ্রহণযোগ্যতা বেশি বলে মনে করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন