লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যায় মামলায় মো. আমিন (৩২) নামের এক যুবককে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন। আমিন সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের শ্যামগঞ্জ এলাকার বশির উল্যার ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, পরিকল্পিতভাবে ইউপি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আদালতে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত আসামির মৃত্যুদ- দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ওমর ফারুক উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিকবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য (মেম্বার) ছিলেন। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে তার সঙ্গে আমিনদের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে একটি চুরির ঘটনায় আমিনের ছোট ভাইয়ের সাত লাখ টাকা জরিমানা করেন ফারুক। ওই টাকা দেওয়ার জন্য আমিনের বাবাকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুককে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ রাতে পূর্ব পরিকল্প মতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো ছুরি দিয়ে ফারুকের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। এতে চিৎকার দিলে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের বাগানের আমগাছের ডালে উঠে আমিন আত্মগোপন করেন। পরে আহত অবস্থায় ফারুককে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এঘটনায় নিহতের স্ত্রী আমেনা খাতুন বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামসুল আরেফিন ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তকালে অন্য আসামিদের নাম বাদ যায়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি আমিনের মৃত্যুদ- দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন