শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যাত্রীসঙ্কটে দক্ষিণাঞ্চলের শতবছরের রকেট স্টিমার সার্ভিস বন্ধ

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৬ এএম

রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে চলাচল করা প্রায় দেড়শত বছরের পুরনো রকেট স্টিমার সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তৎকালীন বৃটিশ সরকার ১৮৭৪ সালে বাস্পীয় প্যাডেল হুইল জাহাজের মাধ্যমে নারায়নগঞ্জ-চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠী-খুলনা নৌপথে রকেট স্টিমার চালু করেছিল। এছাড়া ঢাকা থেকে একাধিক স্টেশন হয়ে বরিশাল পর্যন্ত একটি মেইল স্টিমার সার্ভিসও চলাচল করত। স্বাধীনতার পরে উভয় স্টিমারই নারায়ণগঞ্জের পরিবর্তে ঢাকা থেকে চলাচল শুরু করে। বিগত দেড়শ বছর ধরে বরিশাল ও পুরনো ঢাকাবাসীর সকালে ঘুম ভাঙত রাষ্ট্রীয় যাত্রীবাহী নৌযানের হুইসালে। এমনকি ঢাকার বুড়িগঙ্গা তীরের নবাব বাড়ির লোকজনের অতি প্রত্যুষে ঘুম ভাঙার কারণে বৃটিশ যুগে বরিশাল থেকে বাদামতলী ঘাটে নোঙর করা যাত্রীবাহী স্টিমারগুলোর হুইসেল দেয়া নিষিদ্ধ ছিল।
গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু চালুর ৩ বছর আগেই বিআইডবিøউটিসির একমাত্র অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিসটি কার্যত বন্ধ রয়েছে। এখন পদ্মা সেতুকে অজুহাত হিসেবে দাড় করিয়ে পুরো সার্ভিসটিই বন্ধ করে দেয়া হল। দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী সাধারণের অভিযোগ, সরকারি নৌযানগুলোর সময়সূচি কখনোই যাত্রী বান্ধব ছিলনা। এখন পদ্মা সেতুকে খোঁড়া অজুহাত হিসেবে দাড় করা হচ্ছে। তাদের মতে ঢাকা থেকে বর্তমানের সন্ধা সাড়ে ৬টার পরিবর্তে রাত সাড়ে ৮টায় প্যাডেল চালিত রকেট স্টিমারগুলো ছেড়ে চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠী-পিরোজপুর হয়ে পরদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বাগেরহাটের সন্যাশী ঘাটে পৌঁছে, সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ফিরতি যাত্রা করে একই পথে তা পরের দিন সকালে ঢাকায় পৌছান সম্ভব। এতে করে মাত্র দুটি প্যাডেল জাহাজের সাহায্যে রকেটি স্টিমার সার্ভিসটি পরিচালনের পাশাপাশি অপর ১টি নৌযানকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা যেতে পারে।
পাশাপাশি স্ক্রু-হুইল দুটি নৌযান ঢাকা থেকে ভোলার ইলিশা হয়ে হাতিয়া পর্যন্ত দিবাকালীন যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলেও মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল। এসব বিষয়ে বিআইডবিøউটিসির পরিচালক-বাণিজ্য আশিকুজ্জামানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, অব্যাহত লোকশানে রকেট স্টিমার সার্ভিসটি আপতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কমিটি করে দিয়েছি নতুন রুটের সন্ধানে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাওয়া রকেট সার্ভিসটিও কিভাবে যাত্রী সুবিধা অনুযায়ী পরিচালন করা যায় তাও পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন