বগুড়া জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তরে গ্রæপিং, পদবাণিজ্য, ত্যাগী নেতাকর্মীদের দলে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ পুরনো। নতুন করে ফের একই অভিযোগ তুলেছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়ন বিএনপির নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক। তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্মেলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যখন আওয়ামী ঘরানার এক শীর্ষ নেতার পছন্দের জেলা বিএনপির নেতারা কাক্সিক্ষত ভোটে জয়ী হতে
পারবেন না তা নিশ্চিত, তখন তা ভন্ডুল করে নাম কে ওয়াস্তে কিছু নেতার বাড়ির খুলিতে (উঠানে) সম্মেলনের প্রহসন করে ইচ্ছামাফিক কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আতিকুর রহমান আতিক অভিযোগে বলেন, মাদলা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে তিনি ছিলেন সভাপতি প্রার্থী অথচ কমিটি ঘোষণার পর দেখা গেল তাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তার দাবি, তাকে কমিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মূলত জনরোষের ভয়ে। তিনি আরো বলেন, ‘এরপর ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় দেখলাম আমার অজান্তেই এ কমিটি করা হয়েছে’।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, মাদলাসহ শাজাহানপুর উপজেলায় সবকটি ইউনিয়নেই একই কায়দায় আত্মীয়করণ, পদ বিক্রিসহ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করা হয়েছে। সব জায়গায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের গণহারে ছাঁটাই করা হয়েছে। উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জনপ্রিয় সিনিয়র বিএনপি নেতা আবুল বাশারকে রহস্যজনকভাবে দল থেকে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে আবুল বাশার যেন সভাপতি হতে না পারেন সে কারণেই এটা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ছাড়াও উপস্থিত শতাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সব ইউনিয়ন কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্মেলন স্থগিত এবং নতুন করে নির্বাচন/সম্মেলন সম্পন্ন করে উপজেলা সম্মেলন আয়োজনের জন্য হাই কমান্ডের কাছ আবেদন করেন। তাঁরা এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন