ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেই বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পোশাকবিধি না মানার অভিযোগে মাশা আমিনিকে তেহরান থেকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ (মোরালিটি পুলিশ)। তিন দিন পর শুক্রবার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ।
ইরান হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইরানের অন্তত ৮০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের আশপাশের শহরগুলোতে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে। এর আগে সরকার-সমর্থকেরাও সমাবেশ করেছে। ইরান সরকার বিক্ষোভকারীদের জমায়েত ঠেকাতে তেহরানে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার বলেছে, তারা ইন্টারনেট পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য ইরানের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করতে যাচ্ছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক বলেছেন, তিনি ইরানে তাঁর কোম্পানি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিষেবা চালু করার জন্য নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি চাইবেন।
ইরান হিউম্যান রাইটস আরও জানিয়েছে, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর তাঁর জন্মস্থান কুর্দিস্তান থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। কিন্তু এখন তা কেবল কুর্দিস্তানে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গত বুধবার রাতেই ১১ জন মারা যান। দেশের উত্তরাঞ্চলের মাজান্দারান প্রদেশের আমল শহরে তাদের মৃত্যু হয়। একই দিনে একই প্রদেশের বাবল শহরে মারা যান আরও ৬ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন